Budget 2022: অর্থনীতি সামাল দিতে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’তেই ভরসা, বাজেটে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চমক রাখতে পারে কেন্দ্র

Technology Sector: ওমিক্রনের ঢেউয়ের মাঝেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশ হতে চলেছে। এই বাজেট এমন সময়ে পেশ হচ্ছে, যখন দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে করোনা আগের দুটি ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

Budget 2022: অর্থনীতি সামাল দিতে 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'তেই ভরসা, বাজেটে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চমক রাখতে পারে কেন্দ্র
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কী চমক রাখবে কেন্দ্র?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2022 | 11:23 AM

নয়া দিল্লি: বিশ্বমঞ্চে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বর্তমানে অন্যতম ভরসাস্থল প্রযুক্তি ক্ষেত্রই (Technology Sector)। নানা উদ্ধাবনী শক্তি ও বৈশ্বিক সাফল্যের মাধ্যমে ভারত প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে এই মহামারির (COVID-19) সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক বা প্রাতিষ্ঠানিক সংযুক্তিকরণের পাশাপাশি ডিজিটাল জগৎকে দেশের গণ্ডি পার করে গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হয়েছে, যা অর্থনীতি(Economy)-তে বিশেষ সহায়ক হিসাবেই কাজ করছে। ভাল ও মন্দ-দুই সময়েই প্রযুক্তি ক্ষেত্রের অবদান লক্ষণীয় ছিল।

ওমিক্রনের ঢেউয়ের মাঝেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশ হতে চলেছে। এই বাজেট এমন সময়ে পেশ হচ্ছে, যখন দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে করোনা আগের দুটি ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই সময়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রয়োজন বিশেষ সাহায্যের, বিশেষত করোর নিয়মে। এই সাহায্য পেলেই দেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্র আর্থিক বিনিয়োগ আনতে এবং গোটা অর্তনীতিকেই আরও মসৃণভাবে এগোতে সহায়তা করবে।

প্রযুক্তি ক্ষেত্র নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে বাজেটে?

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে সরকারের উচিত এমন এক নীতি তৈরি করা, যা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলির উপর নজর দেবে। ডিজিটাল পরিবর্তন বা রূপান্তর এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ, সংযুক্তিকরণে বিশেষ সাহায্য হতে পারে। বর্তমানে সাস মার্কেট (SaaS market) উদ্যোগপতিদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার ডেলিভারি মডেল হিসাবে উঠে এসেছে। দেশের প্রযুক্তিবিদ ও কর্মীরাও এই মডেলের সঙ্গে পরিচিত ও এই সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে দক্ষ হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতেও সফল হয়েছে। সরকারের উচিত, জিডিপির বৃদ্ধিতে সালের অবদানকে বোঝা এবং এই মার্কেট যাতে আরও সফল হয়ে ওঠে, সেই লক্ষ্য়ে সাহায্য করা। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই শিল্পের আর্থিক মূল্য ১ ট্রিলিয়ন অবধি পৌঁছাতে পারে বলেই অনুমান, সেই কারণে এখনই এই সুযোগকে নিজেদের হাতের মুঠোয় আনা দরকার।

ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে জোর:

ভারতকে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন ও রফতানির পীঠস্থান তৈরি করার যে স্বপ্ন দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা সফল করতে চলতি বছরেই সরকারের তরফে বড় কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে অনুমান। জিএসটি হ্রাসের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক পণ্যে রফতানি শুল্কও হ্রাস করা হতে পারে। তবে এবারের বাজেটে মূল্য তৈরি বা ভ্যালু ক্রিয়েশনের উপরই বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক পণ্য ও উপকরণ উৎপাদনে ভর্তুকি দেওয়া হতে পারে। ডিজিটাল ভারত কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সাধারণ মানুষকে আগে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সড়গড় করতে হবে। এরজন্য করের ছাড় প্রয়োজন। করোনা সংক্রমণের কারণে উৎপাদন ও সরবরাহে যে প্রভাব পড়েছে, সেই ধাক্কাকে কাটিয়ে উঠতে সরকারের সাহায্য অত্যন্ত জরুরি।

আরও পড়ুন: Budget 2022: গ্রাহকদের চাহিদা পূরণই প্রধান লক্ষ্য, বাজেটের আগেই অর্থমন্ত্রীর কাছে কী দাবি জানাল টেলিকম সংস্থাগুলি?