
আচ্ছা আপনার ক্রেডিট স্কোর কত জানেন? আচ্ছা ধরে নিলাম আপনার ক্রেডিট স্কোর ৭৪০। ক্রেডিট সংস্থাগুলোর ভাষায় আপনার এই ক্রেডিট স্কোর কিন্তু দারুণ। তবুও হঠাৎ বাতিল হয়ে গেল আপনার পার্সোনাল লোনের আবেদন। এমন হোয়, জানেন তো? কিন্তু দারুণ ক্রেডিট স্কোর থাকার পরও এমন কেন হয়?
আসলে যে ব্যাঙ্ক থেকে আপনি লোন নিতে চাইছেন, সেই ব্যাঙ্কের কাছে আপনি কেবল ক্রেডিট স্কোর নন। আপনার আর্থিক জীবনের একটি সম্পূর্ণ ছবি দেখেন তারা। আর সেই কারণেই শুধুমাত্র এই একটি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করলেই আপনি ঋণ পাবেন, এমনটা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, যা হলে তবেই নাকি লোন মেলে।
কোথায় আপনার ফাঁক? লোন অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোরের মতোই জরুরি হল এই ধার ও উপার্জনের অনুপাত। এটি বোঝায় আপনার মাসিক আয়ের কত শতাংশ ইএমআই মেটাতে খরচ হচ্ছে। যদি আপনার ধার ও উপার্জনের অনুপাত ৩৫ শতাংশ বা তার কম হয়, তবে অনুমোদনের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু এটি ৪৫ শতাংশ পেরোলেই বিপদ! ব্যাঙ্ক তখন আপনাকে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাহক হিসাবে গণ্য করে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো বড় ব্যাঙ্ক বলে সরকারি কর্মীদের ২০ হাজার টাকা আর বেসররকারি কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মাসিক উপার্জনপ হলে তবেই লোন মিলবে। শুধু আয় নয়, চাকরির স্থায়িত্বও জরুরি। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে, আপনার মোট ২ বছরের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান সংস্থায় অন্তত ১ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে তবেই লোন মেলে।
যদি ঘন ঘন চাকরি পরিবর্তন করেন বা বয়সের সীমা না মানেন, তবে আপনার ফাইল বাতিল হতে পারে। তাই লোনের জন্য আবেদন করার আগে নিজের উপার্জন ও ধারের অনুপাত কমিয়ে আনুন। সব তথ্য নিয়ে ব্যাঙ্কে যান। এই সতর্কতাই কিন্তু আপনার লোনের পথ সুগম করবে।
কোথাও থেকে কোনও ঋণ নিতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা ঋণ নেওয়া নিয়ে কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও ঋণের ক্ষেত্রেই একটা ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে ঋণ নেওয়ার আগে সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।