Plane Fuel Price: বিমানের টিকিট কি সস্তা হবে? এই কারণে আশায় বুক বাঁধছেন যাত্রীরা
Fuel Price: প্রত্যেক মাসে আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে তারতম্য রেখে ১ ও ১৬ তারিখ জ্বালানি তেলের দাম পরিবর্তিত হয়। ১ জুলাইয়ের দামে কোনও তারতম্য হয়নি।
নয়া দিল্লি: অনেকে এখন সময় বাঁচানো ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে বিমানে করে যাতায়ত করেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই বিমানের জ্বালানি টিকিটের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে বিমানের টিকিটের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। শনিবার জেট প্লেনে ব্যবহৃত বিশেষ জ্বালানি এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েল (Aviation turbine fuel) অথবা এটিএফের দাম কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমার জন্য এটিএফের দাম ২.২ শতাংশ কমেছে। প্রত্যেক কিলোলিটারে এটিফের দাম ৩ হাজা ৮৪ টাকা ৯৪ পয়সা কমেছে। আগে এই বিশেষ ধরনের জ্বালানির দাম ছিল ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৪৭ টাকা ৯৩ পয়সা প্রতি লিটার। এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার এই বিশেষ জ্বালানির দাম কমেছে বলেই জানা গিয়েছে।
প্রত্যেক মাসে আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে তারতম্য রেখে ১ ও ১৬ তারিখ জ্বালানি তেলের দাম পরিবর্তিত হয়। ১ জুলাইয়ের দামে কোনও তারতম্য হয়নি। এর আগে জ্বালানির দামে রেকর্ড হারে ১৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি মন্দার আশঙ্কার জেরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তেলের দাম লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছিল। ১ জুন জ্বালানির দামে ১.৩ শতাংশ কমার পরেও ১৬ জুন বিমানের জন্য অপরিহার্য এটিএফের দাম প্রত্যেক কিলোলিটারে ১৯ হাজার ৭৫৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ২০২২ সালের মধ্যে জুনে ওই একবার মূল্যহ্রাস হয়েছিল। এই বছর এখনও অবধি তেলের দাম ১১ বার বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই শনিবারের কথা বাদ দিলে জানুয়ারি মাস থেকে জ্বালানির দাম ৯১ শতাংশ বেড়েছে।
বিমান পরিবহণের যাবতীয় খরচের মধ্যে জ্বালানির জন্য সবথেকে বেশি খরচ হয়। জ্বালানির জন্য বিমান পরিবহণের ৪০ শতাংশ টাকা খরচ হয়। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিমান ভাড়াও পাল্লা দিয়ে কমেছিল। এখন এটিফের দাম কমে যাওয়ার কারণে বিমান ভাড়া কমতে পারে বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। জ্বালানির দাম কমার কারণে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি যদি এখন টিকিটের দাম কমায় তা, যাত্রীদের যাবতীয় সমস্যার অনেকটাই সুরাহা করবে।