Ease of doing business ranking: ব্যবসার সুযোগ সুবিধায় দেশের মধ্যে সেরা অন্ধ্র, ‘উচ্চাকাঙ্খী’র তকমা পেল বাংলা

Ease of doing business ranking: 'ইজ অব ডুইং বিজনেস' অর্থাৎ ব্যবসা করার সুযোগ সুবিধার নিরিখে দেশের সেরা হল অন্ধ্রপ্রদেশ। পশ্চিমবঙ্গ পেল উচ্চাকাঙ্খী রাজ্যের তকমা।

Ease of doing business ranking: ব্যবসার সুযোগ সুবিধায় দেশের মধ্যে সেরা অন্ধ্র, 'উচ্চাকাঙ্খী'র তকমা পেল বাংলা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 11:59 AM

নয়া দিল্লি: ‘বিজনেস রিফর্ম অ্যাকশন প্ল্যান ২০২০’ কোথায় কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার ভিত্তিতে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ অর্থাৎ ভারতের কোন রাজ্যে ব্যবসা করার সুযোগ সুবিধা বেশি তার একটা তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই তালিকা প্রকাশ করেছেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান পেয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ। দুই এবং তিনে রয়েছে গুজরাট এবং তেলেঙ্গানা। এছাড়া শীর্ষ সাতে রয়েছে হরিয়ানা, কর্ণাটক, পঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু। এই সাত রাজ্যকে সেরা অর্জনকারী রাজ্যের তকমা দেওয়া হয়েছে।

এই সাত রাজ্যের ঠিক নিচে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ – এই ছয় রাজ্য। এই রাজ্যগুলিকে ‘অর্জনকারী’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর পরের বিভাগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যাসপায়ার্স’ অর্থাৎ, এই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ‘অর্জনকারী’ হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এই বিভাগে রয়েছে অসম, কেরল, গোয়া, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং সবশেষে পশ্চিমবঙ্গ। ‘এমার্জিং বিজনেস ইকোসিস্টেম’ অর্থাৎ যে রাজ্যগুলিতে ব্যবসায়িক বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠছে, এই বিভাগে রাখা হয়েছে দিল্লি, পুদুচেরি, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর, বিহার, চণ্ডীগঢ়, দমন ও দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলি, জম্মু ও কাশ্মীর, মণিপুর, মেঘালয়, এবং নাগাল্যান্ডকে।

প্রসঙ্গত, এই তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। এবার মন্ত্রক র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এর আগে পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাদের পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে শুধু ব়্যাঙ্ক দেওয়া হত। এবারই প্রথম র‌্যাঙ্ক ঘোষণার পাশাপাশি সেরা অর্জনকারী, অর্জনকারী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং উদীয়মান ব্যবসায়িক বাস্তুতন্ত্রের মতো চারটি বিভাগে রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হল। শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উন্নয়ন বিভাগের সচিব অনুরাগ জৈন জানিয়েছেন, আসলে বিভিন্ন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে এবার পার্থক্য এত কম ছিল, যে তাদের ক্রমতালিকা তৈরির করা একপ্রকার অর্থহীন ছিল। বরং তাদের বিভিন্ন বিভাগে রাখাটাই ছিল শ্রেয়।

মন্ত্রক আরও বলেছে, এই ক্রমতালিকা তৈরির বৃহত্তর লক্ষ্য হল, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করা, ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা। এর পাশাপাশি এই ব়্য়াঙ্কিং বা বিভাগ ব্যবস্থা হল শিল্পায়নের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির কার্যকারিতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করার একটি ব্যবস্থা। এর ফলে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার পরিবেশও তৈরি হয়। ফলে সারা দেশেই ব্যবসা করার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়।