চৈত্রে সেলে ‘ফ্রি করোনা’! পয়লা বৈশাখের আগে মলে ক্রেতা কমল ৩০%

করোনার কারণে পয়লা বৈশাখের আগের সপ্তাহ শেষে সেলের বাজার বেশ খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকটি শপিং মলে গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সময়ে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

চৈত্রে সেলে 'ফ্রি করোনা'! পয়লা বৈশাখের আগে মলে ক্রেতা কমল ৩০%
ছবি: প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2021 | 8:42 PM

কলকাতা: বৃহস্পতিবারই পয়লা বৈশাখ। বাঙালি নববর্ষের প্রস্তুতির মধ্যে তোপ দাগছে করোনা কাঁটা। রাজ্যে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৮১৭ জন। গত কয়েকদিন ধরেই এই সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আবারও করোনা আতঙ্ক ক্রমশই চেপে বসছে আমজনতার মনে। আর তাতেই ধাক্কা খেল শহরের শপিং মল থেকে গড়িয়াহাট, হাতিবাগানের ফুটপাত। যদিও হাতিবাগান, ধর্মতলার সাধারণ দোকানের থেকে কোপটা প্রকট হয়েছে শহরের শপিং মলগুলিতে।

দেখা যাচ্ছে, এই করোনার কারণে পয়লা বৈশাখের আগের সপ্তাহ শেষে চৈত্র সেলের (Chaitra Sale) বাজার বেশ খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকটি শপিং মলে গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সময়ে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে গড়িয়াহাট, হাতিবাগান কিংবা ধর্মতলার চিত্রটা এর চেয়ে আলাদা। সেখানে গত কয়েকদিনে ভিড় খুব একটা কম পরিলক্ষিত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

শহরের অন্যতম প্রখ্যাত শপিং মল, সিটি সেন্টারের পক্ষে রমেশ পাণ্ডে বলেন, ‘ক্রেতার সংখ্যা যে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে তা বলাই যায়। আমরা গত সপ্তাহান্তে প্রায় ৩০ শতাংশ কম ক্রেতা পেয়েছি। সাধারণ সময়ে শনি বা রবিবার সল্টলেক সিটি সেন্টারে দৈনিক ৭৫ থেকে ৮০ হাজার লোক আসেন। সেটাই গত সপ্তাহে প্রায় ৩০ শতাংশ কম হয়েছে।’

একইসঙ্গে তিনি জানান, সপ্তাহের অন্যদিন, ৫০ থেকে ৬০ হাজারের মতো ক্রেতা আসেন, সেই ক্ষেত্রেও একটা হ্রাস হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অম্বুজার দুটি শপিং মল অর্থাৎ সিটি সেন্টার ১ এবং ২ উভয়ের ক্ষেত্রেই ক্রেতা সংখ্যার এই হ্রাস দেখা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন রমেশ। তবে দুই মলেই সংস্থার তরফ থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সব বিষয়গুলির উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম শপিং মল সাউথ সিটিতে গত সপ্তাহের শেষে প্রায় ১৫ শতাংশ ক্রেতা কম এসেছে বলেই জানা গিয়েছে। এই মলের পক্ষে দীপ বিশ্বাস জানান,”সাধারণত শনি বা রবিবারগুলিতে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ আসেন। করোনার কারণে গত সপ্তাহে এই সংখ্যাটা ১২-১৫ শতাংশ কমেছে। তবে শপিং মলের সব দোকানেই নির্দিষ্ট করোনা বিধি মানার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে আমরা মনে করছি, এই সংখ্যাটা খুব একটা কমবে না।”

আরও পড়ুন: শপিং করতে গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা, সংক্রমণে লাগাম দিতে নয়া নিয়ম বাণিজ্যনগরীতে 

অ্যাক্রোপলিস মলের পক্ষে কে বিজয়ণ বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের মলে খুব একটা ক্রেতার সংখ্যা কমেনি। তবে আমাদের মলে করোনা প্রতিরোধক সবরকম ব্যবস্থাই যথেষ্ট পরিমাণে রাখা হয়েছে। ফলে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই।’ তবে এই মলের দোকানের মালিকেরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে দোকানে গ্রাহকের সংখ্যা বেশ খানিকটাই কমেছে। তবে কোয়েস্ট মল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনওরকম তথ্য বিনিময়ে রাজি হননি।