
৩ নভেম্বর, ৭৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসে EPFO বা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে হাত মেলাল IPPB বা ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। আর এই দুই সংস্থার মধ্যে হওয়া এই ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে বদলে যেতে চলেছে দেশের কোটি কোটি পেনশনভোগীর জীবন।
ঘোষণা আগেই হয়েছিল। আর এই চুক্তির ফলে এখন থেকে বাড়ির দোরগোড়ায় মিলবে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুবিধা। পেনশনভোগীদের আর ব্যাঙ্কে বা EPFO অফিসে গিয়ে লাইন দিতে হবে না।
ইন্ডিয়ান পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক তাদের বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবে। ফলে দেশের ১.৬৫ লক্ষেরও বেশি পোস্ট অফিস এবং ৩ লক্ষেরও বেশি পোস্টম্যান বা গ্রামীণ ডাক সেবক এখন আপনার বাড়িতে গিয়ে এই পরিষেবা দিয়ে আসবেন।
পোস্টম্যানরা ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্র নিয়ে আসবেন। এর মাধ্যমে আধার-ভিত্তিক ফেস অথেন্টিকেশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন ব্যবহার করে ডিজিটালভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে।
খরচ কত? আপনার জন্য এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে! ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ইস্যু করার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড।
বিশেষত গ্রামীণ এবং আধা-শহুরে এলাকার প্রবীণ নাগরিকরা, যাঁদের পক্ষে ইপিএফও অফিস বা ব্যাঙ্কে যাওয়া কষ্টকর, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
আপনি যদি একজন ইপিএফও পেনশনভোগী হন, তবে খুব সহজেই এই পরিষেবা পাবেন আপনি। আপনার পোস্টম্যান বা গ্রামীণ ডাক সেবকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা আপনার নিকটতম পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
আপনার আধার নম্বর ও পেনশন বিবরণী দিয়ে আধার-লিঙ্কড ফেস বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক-এর মাধ্যমে বিষয়টি অথন্টিকেট করে নিলেই হল।
এর পর আপনার মোবাইলে একটি কনফার্মেশন মেসেজ আসবে এবং পরের দিন jeevanpramaan.gov.in ওয়েবসাইটে সার্টিফিকেট দেখা যাবে। ২০২০ সাল থেকেই ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক এই পরিষেবা দিয়ে আসছে, এখন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সুবিধা আরও সহজে পৌঁছবে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে।