Indian Navy: বাদ ফ্রান্স, জার্মানির থেকে উন্নততর সাবমেরিন কিনতে চলেছে ভারত!

German Submarines: প্রায় ৩৬ হাজার কোটির ফরাসি এই স্করপেন সাবমেরিনের যে অতিরিক্ত বরাত দিয়েছিল ভারত, তা এবার বাতিল করতে চলেছে তারা। সেই প্রকল্পের বদলে এবার ৭০ হাজার কোটির Project 75I (P-75I)-এর অধীনে জার্মানির Thyssenkrupp Marine Systems বা TKMS-এর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।

Indian Navy: বাদ ফ্রান্স, জার্মানির থেকে উন্নততর সাবমেরিন কিনতে চলেছে ভারত!
Image Credit source: PTI

Oct 16, 2025 | 12:04 AM

শত্রুদের জলের নীচে নাস্তানাবুদ করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও দেশের সেনাবাহিনী। আর এবার সেই পথে হেঁটে বিরাট এক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আমাদের দেশ। সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, এবার ফ্রান্সের স্করপেন চুক্তি বাতিল করতে চলেছে নয়া দিল্লি।

জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৬ হাজার কোটির ফরাসি এই স্করপেন সাবমেরিনের যে অতিরিক্ত বরাত দিয়েছিল ভারত, তা এবার বাতিল করতে চলেছে তারা। কিন্তু এই বরাত বাতিলের ফলে কি কিছুটা হলেও ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিক্ষয় হবে না?

জানা গিয়েছে, সেই প্রকল্পের বদলে এবার ৭০ হাজার কোটির Project 75I (P-75I)-এর অধীনে জার্মানির Thyssenkrupp Marine Systems বা TKMS-এর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আর যদি তেমনই হয় তাহলে ফরাসি সাবমেরিনের বদলে জার্মান সাবমেরিন পেতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা।

কেন ফ্রান্সের স্করপেন চুক্তি ‘হোল্ড’

সূত্রের খবর, জার্মান সাবমেরিনগুলি ফরাসি স্করপেন-এর চেয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে। এর প্রধান কারণ হল, জার্মান নৌযানে AIP বা এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালসন সিস্টেম রয়েছে।

এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালসন সিস্টেম কী?

এই প্রযুক্তি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিনকে জলের তলায় দু’সপ্তাহ পর্যন্ত লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে। পুরোনো সাবমেরিনগুলিকে ব্যাটারি চার্জের জন্য বার বার জলের উপরে আসতে হয়। আর সেই কারণেই জার্মান সাবমেরিনের দিকে ঝুঁকছে নৌসেনা।

ভারতের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডকে (Mazagon Dock Shipbuilders Limited) একসঙ্গে দুটি জটিল প্রোজেক্টের ভার দেওয়া বেশ কঠিন। আর সেই কারণেই মাজাগন ডকের পুরো মনোযোগই এখন P-75I-এর দিকে।

জার্মানির সঙ্গে চুক্তিতে কী সুবিধা

জার্মানির TKMS-এর সঙ্গে এই নতুন Project 75I চুক্তির মাধ্যমে ভারত ৬টি অ্যাডভান্সড সাবমেরিন তৈরি করবে। এখানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত স্বদেশীকরণ এবং ডিজাইন-সহ প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই সাবমেরিনগুলিতে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালসন সিস্টেমের পাশাপাশি স্থলে হামলাকারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও থাকবে।

তবে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক কিন্তু মজবুত থাকছে। প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার রাফাল যুদ্ধবিমান এবং ৬১ হাজার কোটির AMCA জেট ইঞ্জিন তৈরির চুক্তি ফরাসি সংস্থা Safran-এর সঙ্গে প্রায় চূড়ান্ত। নৌবাহিনীর এই সিদ্ধান্ত তাই প্রযুক্তির স্বার্থে নেওয়া। দুই দেশের সম্পর্কে এতে কোনও ফাটল ধরবে না। কিন্তু চিনের প্রায় ৬০টি সাবমেরিন এবং পাকিস্তানের কাছে আসা ৮টি নতুন ইউয়ান-ক্লাস নৌযানের মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি। আর সেই পদক্ষেপের ফলে আরও শক্তিশালী হবে দেশের নৌসেনা।