Crude Oil Price: ১০০ ডলারের নীচে নামল অপরিশোধিত তেলের দাম, এবার কি কমবে পেট্রোল-ডিজেলেরও দাম?
Crude Oil Price: বিশ্ব বাজারে ক্রুড তেলের দামের উপর নির্ভর করেই দেশের বাজারে পেট্রোপণ্য়ের দাম ধার্য করা হয়। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রুড তেলের দাম বাড়লে দেশেও পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ে।
নয়া দিল্লি: করোনাকালে সাধারণের জীবন যখন থমকে দাঁড়িয়েছিল, সেই সময়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তৈল উত্তোলনে। এরফলে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল অপরিশোধিত তেলের দাম। সংক্রমণ কমার পরও সেই দামে খুব একটা ফারাক হয়নি। এরমধ্য়ে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এরফলে ফের একবার হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করে অপরিশোধিত তেলের। সেই যুদ্ধেরও চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এবার সেই ধাক্কা সামলেই কমতে শুরু করেছে তেলের দামের। বৃহস্পতিবার ফের কিছুটা দাম কমল অপরিশোধিত তেলের। টানা তিনদিন ধরে তেলের দাম কমায় বর্তমানে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের নীচে নেমে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৯৪ সেন্ট বা ০.৯ শতাংশ কমায়, বর্তমানে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৯৯.৭৫ ডলারে পৌঁছেছে। মাঝে এই দাম ৯৮.৫০ ডলারেও পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, ডব্লুটিআই ক্কুড তেলের দামও ৭৯ সেন্ট কমেছে। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৯৭.৭৪ ডলার।
গত ১১ এপ্রিলের পর এ দিনই অপরিশোধিত তেলের দাম সবথেকে কম ছিল। বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও দাম কমাকে শুভ ইঙ্গিত বলেই মনে করছে তৈল উৎপাদক ও পরিশোধক সংস্থাগুলি। ডব্লুটিআই ও ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম মিলিয়ে যে দামের পতন হয়েছে, তা ১৯৮৮ সালের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ পতন। এই দাম কমার পিছনের কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, ক্রুড তেল ব্যবহারকারী দেশগুলি ধীরে ধীরে তেলের উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ে ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে শুরু করেছে। সেই কারণেই বাজারে চাহিদা থাকলেও, তার জেরে সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না।
কতটা প্রভাব পড়বে দেশীয় বাজারে?
বিশ্ব বাজারে ক্রুড তেলের দামের উপর নির্ভর করেই দেশের বাজারে পেট্রোপণ্য়ের দাম ধার্য করা হয়। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রুড তেলের দাম বাড়লে দেশেও পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ে। এবার বিশ্ব বাজারে ক্রুড তেলের দাম কমতে শুরু করায়, তার সুফল হিসাবে পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দামও কমতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র ক্রুড তেলও নয়, ধাতু ও পাম তেলের দামও বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এর জেরেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম কমতে পারে।