
এসি, ফ্রিজ বা ওয়েশিং মেশিনের মতো পণ্যে বিক্রি আজকাল বাড়ছে হু হু করে। শহরে তো বটেই দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও আজকের দিনে অন্তত ফ্রিজ আর এসি খুব দ্রুত নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। তার একটা বড় কারণ হল আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। আর যেটার জন্য দায়ী মূলত মানুষই। আর এই ধরনের পণ্যের এই চাহিদা দেখে শিল্প বিশেষজ্ঞরা বৃদ্ধির একটা ভাল পূর্বাভাস দিচ্ছেন। আর অঙ্কের বিচারে সেই পূর্বাভাস ১০ শতাংশের বেশি, এটা বলাই যায়।
ভারতে এই ধরনের পণ্য বিক্রি করে যে সব সংস্থা তার মধ্যে সবার উপরে আসে এলজি। কয়েক দিন আগেই শেয়ার বাজারে লিস্টিং হয়েছে এলজি ইন্ডিয়ার। আর সেই সময় সাধারণ দামের থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি দামে লিস্টেড হয়ে এই সংস্থা। এ ছাড়াও এলজি ইন্ডিয়ার বর্তমান মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন সংস্থার প্যারেন্ট কোম্পানিকেও যে ছারিয়ে গিয়েছে। কারণ, ভারিতের বাজারে লিস্টিং হওয়ার পর এই এলজি ইন্ডিয়ার মার্কেট ক্যাপ দাঁড়িয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে। আর তাদের প্যারেন্ট সংস্থা এলজি ইলেকট্রনিক্সের মার্কেট ক্যাপ মাত্র ৯ বিলিয়ন ডলার। টিয়ার ১ থেকে টিয়ার ৩, সব ধরনের শহরেই টিভি, ফ্রিজ, এসি বা ওয়াশিং মেশিনের মতো পণ্য বিক্রি করে এই সংস্থা।
এর পর আসে হ্যাভেলস ইন্ডিয়া। হ্যাভেলস টিভি, ফ্রিজ বা এসি না বানালেও তারা আলো, পাখা, তার, স্যুইচ এবং ওয়াটার হিটারের মতো পণ্য তৈরি করে। ফলে, দেশের সব শহরে, সব গ্রামে এই সংস্থার পণ্য পাওয়া যায়।
এর পর আসে ভোল্টাস। টাটা গ্রুপের অধীনস্ত এই সংস্থা ভারতের বৃহত্তম এসি প্রস্তুতকারক। সংস্থার সঙ্গে রয়েছে টাটা গ্রুপের বিশ্বাসযোগ্যতা ও ব্র্যান্ড ভ্যালু। এ ছাড়াও ভোল্টাসের বিরাট নেটওয়ার্কও রয়েছে সঙ্গে। টিভি তৈরি না করলেও, ভোল্টাস কিন্তু এসি, ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন তৈরি করে। এ ছাড়াও ওয়াটার হিটারও তৈরি করে তারা। ফলে, আসন্ন শীতে এই সংস্থাগুলোর যথেষ্ট বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।