নয়া দিল্লি: নিত্যদিনই ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের কাছে পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক মেসেজ আসে। কখনও নতুন কোনও অফার, আবার কখনও অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্সের তথ্য জানানো হয় মেসেজের মাধ্যমে। কিন্তু সারাদিনে মোবাইলে আসা সমস্ত মেসেজই কি আসলে ব্যাঙ্ক থেকে আসে? নাকি এরমধ্যেই লুকিয়ে থাকে প্রতারকদের পাতা জাল? বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও মোবাইলের মাধ্য়মে প্রতারণা বিগত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে। সামান্য় একটা ভুল, আর তাতেই ফাঁকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট। এবার মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন, তা নিয়ে সতর্ক করল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
এসবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রাহকদের কাছে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রতারণামূলক মেসেজ আসে ব্যাঙ্কের নাম করে। কীভাবে বুঝবেন কোন মেসেজটি আসল, আর কোনটি প্রতারণামূলক, তার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। এগুলি হল-
কেওয়াইসি আপডেট-
স্টেট ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে কখনওই কেওয়াইসি আপডেটের জন্য নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ওটিপি চাওয়া হয় না। যদি এই ধরনের কোনও মেসেজ পান, তবে বুঝবেন সেটি প্রতারণামূলক। একইসঙ্গে মেসেজে যদি কোনও অন্য় লিঙ্কে ক্লিক করার উল্লেখ থাকে, তবে তাও প্রতারকদেরই পাঠানো।
শর্ট কোড-
প্রত্যেকটি ব্যাঙ্কের মতো স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ারও একটি শর্ট কোড রয়েছে, যা প্রতিটি মেসেজের উপরে উল্লেখ থাকে। এসবিআইয়ের বিভিন্ন পরিষেবার উপরে ভিত্তি করে SBIBNK, SBIINB, SBYONO, ATMSBI-র মতো কোডের উল্লেখ থাকে। এই কোডগুলি দেখে বুঝবেন যে ব্যাঙ্ক থেকেই সত্যি মেসেজ পাঠানো হয়েছে।
বানান ভুল-
কোনও ব্যাঙ্কের মেসেজে বানান ভুল থাকে না। কিন্তু প্রতারণামূলক মেসেজগুলির ক্ষেত্রে অধিকাংশ জায়গাতেই ভুল থাকে। তা বানান ভুল থেকে শুরু করে বাক্য গঠনের ভুল হতে পারে। যদি একটু মন দিয়ে মেসেজটি পড়েন, তবেই এই ভুল নজরে আসবে এবং সহজেই বুঝতে পারবেন যে সেটি প্রতারণমূলক মেসেজ নাকি।
অন্য ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ-
যে ব্যাঙ্কে আপনার অ্য়াকাউন্ট নেই, যদি সেই ব্যাঙ্ক থেকেও অ্যাকাউন্ট খোলার বা টাকা লেনদেনের মেসেজ আসে, তবে ভুল করেও কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এটি প্রতারণামূলক মেসেজ।