Indian Economy : করোনা মহারমারিতে ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ! মোদী সরকারের গত আট বছরের অর্থনৈতিক সংস্কার

Indian Economy : গত আট বছরে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। করোনাকালে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার।

Indian Economy : করোনা মহারমারিতে ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ! মোদী সরকারের গত আট বছরের অর্থনৈতিক সংস্কার
গ্রাফিক্স : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 6:59 PM

২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১৯ সালেও মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বহাল নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রে পরপর দ্বিতীয়বারের জন্য় রয়েছে বিজেপি সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রে মোদী সরকারের আট বছর পূরণ হয়েছে। এই মোদীর শাসনকালে গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এসেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। ৯০ দশকের মিশ্র অর্থনীতি থেকে ২০১৪ সালে বাজার ভিত্তিক অর্থনীতি পরখ করেছে দেশ।

গরিবের কল্যাণ

করোনাকালে খুব খারাপ সময়ের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। বহু মানুষের চাকরি গিয়েছে। হাতে রোজগার ছিল না। দিনে তিনবেলা খাওয়ার জোগাড় ছিল না। সেইসময় দরিদ্র মানুষের পাতে ভাত দিয়েছে ভারত সরকার। সেই সময় বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্য বিতরণ প্রকল্প চালু করেছলি মোদী সরকার। দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষের কাছে চাল,ডাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল এই প্রকল্পের আওতায়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর অবধি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় এই রেশন বিতরণ চলবে। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩.৪০ লক্ষ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ অর্থের দ্বিগুণ এই প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

সকলের জন্য ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা

গত আট বছরে সরকারের নজরে ছিল দেশের সকল প্রাপ্ত বয়স্কের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছে ভারত সরকার। সেই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন প্রায় ৪৬ কোটি জনগণ। ২০১৪ সালে যেখানে ৫৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় নাগরিকের ২০১৭ সালে সেই পরিসংখ্যান ৮০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এর ফলে সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের সুবিধা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকার তাদের কোনও প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তা বা সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে মাঝে টাকা আটকে যাওয়া বা তা আত্মসাৎ করার সম্ভাবনা কমে গিয়েছে। সুবিধাভোগীদের ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা ও জীবন বিমা পাচ্ছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের নাগরিকদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য কভারেজও দিয়েছে সরকার। এর ফলে কোনও পরিবার রাজ্য পরিচালিত ও বেসরকারি হাসপাতালে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুবিধা পাবে।

 বিদেশী বিনিয়োগ (Foreign Direct Investment)

গত ৮ বছরে অর্থনীতিতে ভারসাম্য এনেছে বিজেপি সরকার। দেশের অর্থনীতির সূচক ভাল কিনা তা কিয়দাংশে নির্ভর করে সেই দেশে কতটা বিদেশী বিনিয়োগ আনা গেল। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কোভিডকালেও এই সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০২০ এর অর্থবর্ষের তুলনায় ২১ এর অর্থবর্ষে ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে এক্ষেত্রে। ২০২১ এর জানুয়ারির UNCTAD রিপোর্ট অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলিতেস FDI কমেছে ৬৯ শতাংশ। আমেরিকাতে কমেছে ৪৯ শতাংশ, ব্রিটেনে এই অঙ্কটা শূন্যতে গিয়ে ঠেকেছিল। এই বেসের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১-২২ বর্ষে ১.৯৫ শতাংশ বেড়েছে বিদেশী বিনিয়োগ। ২০২১-২২ বর্ষে অঙ্কটা ছিল ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭২২ কোটি (৮১.৭২ বিলিয়ন ডলার)।

ভারতের কৃষি অর্থনীতি :

গম ও তুলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকূলতা আসলেও গত কয়েক বছর ধরে কৃষিক্ষেত্রে কাজের প্রতিফলন উদ্বুদ্ধজনক ছিল। কৃষকদের মেহনতির ফলে শস্যের দাম শুধুই অপরিবর্তিত ছিল না, পাশাপাশি মহামারির সময় একটা বড় সংখ্যক নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে রেশন দিতে সরকারকে সাহায্য় করেছে এই ক্ষেত্র।

তবে এই জায়গায় উপনীত হতে অবশ্যই বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করে সাফল্য আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার।