‘বিশ্বমানের ব্যবস্থা’! বন্ধ হবে একাধিক ব্যাঙ্ক? ঠিক কী বলছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী Nirmala Sitharaman?

Union Finance Minister Nirmala Sitharaman: এর আগেও ২০২০ সালে একাধিক ব্যাঙ্কের একত্রীকরণ হয়েছিল। যেখানে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে ৪টি বৃহত্তর বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। তবে এবারের প্রক্রিয়াটি শুধু সাধারণ মার্জারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

বিশ্বমানের ব্যবস্থা! বন্ধ হবে একাধিক ব্যাঙ্ক? ঠিক কী বলছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী Nirmala Sitharaman?
ব্যাঙ্ক নিয়ে কী বলছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?Image Credit source: PTI

Nov 07, 2025 | 4:41 PM

দেশের অর্থনীতিকে বিশ্ব মঞ্চে আরও শক্তিশালী করতে এবার এক বিরাট পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোকে একত্রীকরণ ও তার পরবর্তী পর্বের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির চাহিদা মেটাতে ভারতের ‘একাধিক বড় ও বিশ্বমানের ব্যাঙ্ক’ প্রয়োজন।

এর আগেও ২০২০ সালে একাধিক ব্যাঙ্কের একত্রীকরণ হয়েছিল। যেখানে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে ৪টি বৃহত্তর বড় ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। তবে এবারের প্রক্রিয়াটি শুধু সাধারণ মার্জারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এবারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনার পর এক বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান তৈরি ও সেই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামো তৈরির উপর জোর দেওয়া হবে।

কীভাবে কাজ করবে সরকার?

সীতারামন নিশ্চিত করেছেন যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসব। কীভাবে তারা এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তা নিয়ে কথা বলব’। সরকারের লক্ষ্য, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে ব্যাঙ্কগুলি কেবল টিকে থাকবে, এমন নয়। উল্টে ব্যাঙ্কগুলো ব্যাপকভাবে তাদের ব্যবসা বাড়াবে।

অর্থমন্ত্রী দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, বিনিময় হার এবং বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণে অনিশ্চয়তা এখন দৈনন্দিন ঘটনা। এই চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যাঙ্কগুলিতে নগদের প্রবাহ আরও গভীর ও বিস্তৃত করতে হবে।

দেশের আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির রাখা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, সংস্কারের গতি বজায় রাখতে হবে, যা অর্থনীতিতে স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে এসেছে। এই নতুন উদ্যোগ আগামী দিনে ভারতের ব্যাঙ্কিং মানচিত্রকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে, এটাই হয়তো এখন বাজারের প্রধান আলোচনা।