
প্রথমে অভিযোগ, আর তার পর সেই সংস্থার সিইওর জবাব। ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্টকব্রোকার সংস্থা জিরোধাকে নিয়ে হঠাৎই এমন ঘটনা ঘটল। মুম্বাইয়ের বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারী ড. অনিরুদ্ধ মালপানি এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেন, ৫ কোটি টাকার দৈনিক সীমার কারণে তিনি নিজের জিরোধার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। তাঁর দাবি ছিল, তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪২ কোটি ৯ লক্ষ টাকা তোলার মতো ব্যালেন্স রয়েছে। তবে তিনি নাকি দৈনিক ৫ কোটি টাকার বেশি তুলতে পারছিলেন না।
এই অভিযোগের পরই বাজারে শুরু হয় বিতর্ক। ড. মালপানি এই ব্যবস্থাকে সরাসরি স্ক্যাম বলে দেগে দেন। তিনি স্ক্রিনশট পোস্ট করে জানান, ৫ কোটি টাকার বেশি তুলতে গেলে সাপোর্ট টিকিট কাটতে হচ্ছে। তাঁর টাকা আটকে রাখা হচ্ছে কেন, এই প্রশ্ন তুলেই তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন।
The Zerodha scam !
They don’t allow me to withdraw my own money from their account ,saying the daily limit for withdrawal is Rs 5 crores . They use my money for free !@zerodhaonline
This is unfair @nikhilkamathcio pic.twitter.com/QgEborsDxP— Dr Aniruddha Malpani, MD (@malpani) November 3, 2025
জিরোধার সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা নীতিন কামাথ দ্রুত এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি স্পষ্ট জানান, ড. মালপানির টাকা তোলার সমস্ত অনুরোধ ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া করা হয়েছে। কামাথের কথায়, ৫ কোটি টাকার এই সীমা কোনও বিধিনিষেধ নয়। এটি আসলে একটি অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ব্যবস্থা।
Hi Dr, your payout requests were processed yesterday. We need to ensure, for the sake of our systems’ sanity (like all other financial services firms), that we have some checks in place when clients withdraw funds
As you can imagine, numerous potential issues can arise during… https://t.co/dfrj56Hyxi pic.twitter.com/8hhCW0DRFO
— Nithin Kamath (@Nithin0dha) November 4, 2025
কামাথ বলেন, যখন কোনও গ্রাহক বড় অঙ্কের টাকা তোলেন, তখন ভুল বা জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর একবার টাকা বেরিয়ে গেলে তা ফেরানো অসম্ভব। তাই ৫ কোটির বেশি টাকার ক্ষেত্রে একটি সাপোর্ট টিকিটের মাধ্যমে ম্যানুয়াল ভেরিফিকেশন করা হয়। যাতে জালিয়াতি রোখা যায়। এটি ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা সংস্থার ক্ষেত্রেও একটি সাধারণ ব্যবস্থা। গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্যই এই সতর্কতা নিয়ে থাকে সংস্থাগুলো।
এই বিতর্কে জিরোধা গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে। দ্রুত জবাব এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, বড় অঙ্কের লেনদেনে সতর্কতা জরুরি। আগামীতেও গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত রাখতে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু থাকবে।