Social Media Manager: দিনরাত ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামেই ঘোরাফেরা? সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই লক্ষাধিক টাকা আয় কীভাবে করবেন, জানেন?

Social Media Manager: অনেক অভিভাবকের কাছেই সোশ্যাল মিডিয়া 'অভিশাপ' হলেও, যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা আশির্বাদেও পরিণত হতে পারে। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিপুল চাহিদার কারণেই কর্মসংস্থানের নতুন পথও খুলে গিয়েছে।

Social Media Manager: দিনরাত ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামেই ঘোরাফেরা? সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই লক্ষাধিক টাকা আয় কীভাবে করবেন, জানেন?
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 9:00 AM

কলকাতা: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অভিভাবকদের অন্যতম অভিযোগ হল সন্তান অধিকাংশ সময়টাই মোবাইলে কাটায়। সারাদিন সোশ্য়াল মিডিয়ায় ব্যস্ত তারা, পরিবারের সঙ্গে এক দণ্ড বসে কথা বলার সময়ও নেই তাদের হাতে। হাজার হাজার বন্ধু রয়েছে তাদের, তবে সবই ভার্চুয়াল। মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার এতটাই নেশা তাদের যে দিন-রাত ভুলতে বসেছে তারা। অনেক অভিভাবকের কাছেই সোশ্যাল মিডিয়া ‘অভিশাপ’ হলেও, যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা আশির্বাদেও পরিণত হতে পারে। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিপুল চাহিদার কারণেই কর্মসংস্থানের নতুন পথও খুলে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন একটি পদ- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের চাহিদা তুঙ্গে। তাদের বেতনও ৪০-৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা। কীভাবে এই পদে চাকরি পাওয়া যায় জানেন?

শুনে অনেকের মনে হতেই পারে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কাজ করার কী রয়েছে? এই ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্য নতুন কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু আনা এবং তা লক্ষ্য দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া কোনও চ্যালেঞ্জের থেকে কম নয়। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাপে অ্যাকাউন্ট বা অ্যাকটিভ থাকলেই চলে না, কীভাবে হাজার মানুষের মধ্যে থেকে নিজেকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠা করবেন, তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের মুন্সিয়ানা।

কীভাবে নিজেকে একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন?

১. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রথম দক্ষতাই হল যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে জ্ঞান। যেকোনও সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালন যেন হাতের মুঠোয় থাকে, তবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

২. লিখতে জানা। সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু। ভাবনাকে কত সহজে ও অল্প কথায় ফুটিয়ে তুলতে পারছেন, তার উপরও নির্ভর করছে আপনি কতটা দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে পারবেন।

৩. দর্শকদের সঙ্গে আত্মিকযোগ তৈরি করা। এই ডিজিটাল যুগে আলাপ-পরিচয়ও মুঠোফেন বা কম্পিউটার স্ক্রিনের মধ্যেই বন্দি। কীভাবে সাধারণ মানুষের কাছে নিজের বিষয়বস্তু পৌঁছে দেবেন, তা জানতেই হবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে। একইসঙ্গে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে যে আপনার ওই কনটেন্ট দেখে দর্শক যেন তার সঙ্গে নিজের যোগসূত্র স্থাপন করতে পারে।

৪. আধুনিকতা ও নতুনত্ব- সোশ্যাল মিডিয়ার দুই মন্ত্র। একঘেয়ে জিনিস দেখতে আর কেউ পছন্দ করেন না। যদি আপনি দর্শককে নতুনত্বের স্বাদ দিতে না পারেন, কিছুদিন বাদেই ওই দর্শক হাতছাড়া হবে। তাই প্রতিদিনই কাজে নতুন ও আধুনিক কিছুর ছোঁয়া রাখতে হবে।

৫. এনগেজমেন্ট বাড়ানো- আপনার সাইটে দর্শক আসবে কেন? রোজ এই কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের। দর্শক সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ, যা সোশ্য়াল মিডিয়ার ভাষায় এনগেজমেন্ট হিসাবে পরিচিত, তা বাড়াতে হবে। এর জন্য নানা ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে উপহার, নানা নিত্য-নতুন জিনিস উপস্থাপন করতে হয়।