Asansol Municipal Election: ‘মা-বোনেরা রান্নাঘরের হাতা-খুন্তি নিয়ে বুথগুলো আগলে রাখুন’

Municipal Elections: আসানসোলে ডামরাতে নির্বাচনী প্রচারে এসে আসানসোলের তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন ডি ওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষি।

Asansol Municipal Election: 'মা-বোনেরা রান্নাঘরের হাতা-খুন্তি নিয়ে বুথগুলো আগলে রাখুন'
প্রচারে মীনাক্ষি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2022 | 3:43 PM

পশ্চিম বর্ধমান: ‘নিজের ভোট রক্ষা করুন। ভোট লুঠ করতে এলে মা বোনেরা রান্নাঘরের হাতা খুন্তি নিয়েও বুথগুলো আগলে রাখুন।’ বুথ লুঠের বিরুদ্ধে মহিলাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানালেন সিপিআইএম নেত্রী (CPIM) মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi mukherjee)। আসানসোলে ডামরাতে নির্বাচনী প্রচারে এসে আসানসোলের তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন ডি ওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী। আসানসোলের ডামরায় ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী উৎপল রায় ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী দোলন হেমব্রমের সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মীনাক্ষি বলেন, “এখন নিজেকে আসানসোলের বাসিন্দা বলতে লজ্জা বোধহয়। এখন আসানসোল মানেই ভোট লুঠ। আসানসোলের নেতারা দুর্গাপুরে গিয়ে ভোট লুঠ করেন। দুর্নীতিতে ডুবে গেছে আসানসোল কর্পোরেশন। এখানকার ডেপুটি মেয়র কোভিডের সময় চাল চুরি করেছিল। তদন্ত কমিটি হল কিন্তু কোনও ফল বেরিয়ে এল না।”

প্রচারে বেরিয়ে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিলে হাঁটেন মীনাক্ষী। সেখানেই বলেন, “নিজের ভোট রক্ষা করুন। ভোট লুঠ করতে এলে মা বোনেরা রান্নাঘরের হাতা খুন্তি নিয়েও বুথগুলো আগলে রাখুন।” উল্লেখ্য, প্রায় অনুরূপ বাক্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন আবহে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। প্রায় একইরকম কথা  মীনাক্ষীর মুখেও। সমালোচকদের একাংশের প্রশ্ন কোথাও গিয়ে কি তৃণমূল নেত্রীই তাঁর অনুপ্রেরণা? যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মীনাক্ষী বা বাম সমর্থকেরা।

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচন আবহে রীতিমতো চর্চায় ছিলেন মীনাক্ষী। নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বাম নেত্রী। তরুণী মীনাক্ষী অল্প সময়ের মধ্যেই নন্দীগ্রামে নজর কেড়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ, মীনাক্ষীর মধ্যে নবীনা তৃণমূল সুপ্রিমোকে দেখতেও পেয়েছিলেন। যদিও, সেই মতে আমল দেননি অনেকেই। তবে শুভেন্দু ও মমতার মতো এমন হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর পাশে নিতান্ত নতুন আনকোরা মীনাক্ষীর লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়েছিল শাসক বিরোধী উভয়েই। বিধানসভা নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ প্রচারে দেখা যায়নি মীনাক্ষীকে। অবশেষে  আসানসোলে তাঁকে পুরপ্রচারে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়িতে পুরভোট। বৃহস্পতিবার ১০৮টি পুরসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন  থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ ফেব্রুয়ারি। স্ক্রুটিনি ১০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ তারিখ ফেব্রুয়ারি। সাউথ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে হবে নির্বাচন।  তবে এখনও পর্যন্ত গণনার দিন জানায়নি কমিশন।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা