দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় রাতভর পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার ১৬

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় রাতভর পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার ১৬
আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Updated on: Apr 08, 2021 | 11:49 AM

কোচবিহার: দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় রাতভর পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার করা হল ১৬ জনকে। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয় লক্ষ্য করে ইট, বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।

বুধবার সন্ধেয় শীতলকুচি বিধানসভা এলাকার কলেজ মাঠের পাশে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। কাঁচ ভেঙে যায় দিলীপ্র গাড়ির। গেরুয়া শিবিরের তরফে অভিযোগে জানানো হয়েছে, তৃণমূল কর্মীরা দিলীপ ঘোষের কনভয় ঘিরে ধরেন। মমতার জনসভা থেকে ওই কর্মীরা ফিরছিলেন বলেও দাবি বিজেপির। গাড়ি ভাঙচুর হয়। প্রবল ইটবৃষ্টিতে গাড়ির ভিতর মাথায় হেলমেট পরে থাকতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা থেমে থাকবো না। আজ আবার সিতাই যাব।’

বুধবারই তৃণমূল তথা খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল নেত্রীর উস্কানিতেই এই হামলা হয়। তিনি বলেন, “পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি আছে। উনি বুঝতে পেরে গিয়েছেন জেতার কোনও চান্স নেই। তাই বাংলার সর্বনাশ করে দিয়ে যাবেন।” শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বুধবারই কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।

ভোট চলাকালীন রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রে বিজেপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। দ্বিতীয় দফার আগে নন্দীগ্রামে এক বিজেপি নেতার স্ত্রী-কে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া তৃতীয় দফায় এক বিজেপি নেতার স্ত্রী-কে খুনের ঘটনাতেও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই ফের রাজ্যে এক বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়েছে। খেজুরিতে ভূপতিনগর এলাকার বাসিন্দা শম্ভু নামে ওই নেতার মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: অর্ধেক খোলা প্যান্ট, মুখে চাপ চাপ রক্ত! ফের উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ

বৃহস্পতিবার সকালে খেজুরির গড়বাড়ি মন্ডলের নাজিরবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে একটি খেতের মধ্যে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে খবর দেন পুলিশকে। সূত্রের খবর, বুধবার বিকালেই শম্ভুর কয়েক জন বন্ধু তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।