ভোটের আগে নগদ ১০ লক্ষ টাকা-সহ হাওড়া ফেরিঘাটে আটক যুবক

নির্বাচন কমিশন ( Election Commission) -এর বিধি অনুযায়ী এখন ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ টাকা নিয়ে ঘোরা যায় না, তাই ১০ লক্ষ টাকা-সহ এক ব্যক্তিকে আটক করল পুলিশ

ভোটের আগে নগদ ১০ লক্ষ টাকা-সহ হাওড়া ফেরিঘাটে আটক যুবক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 11:25 PM

হাওড়া: বিধানসভা নির্বাচনের আগে (West Bengal Assembly Election 2021) বড় সাফল্য হাওড়া পুলিশের। ফেরিঘাট থেকে কালো ব্যাগে করে নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। কী কারণে এত পরিমান নগদ অর্থ নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন ওই ব্যক্তি তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বুধবার হাওড়ার ফেরিঘাটে নাকা চেকিংয়ের সময় জনৈক অমিত সাহা নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। তাঁর কাছে থাকা একটি কালো ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এত টাকা কী উদ্দেশ্যে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আটক ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী। তিন জানিয়েছেন, ব্যবসার কাজেই উনি ওই টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনও বেআইনি লেনদেনের চেষ্টা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, অমিত সাহা নামে ওই ব্যক্তি বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা। তিনি রামপুরহাট থেকে ট্রেনে করে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন। তার পর স্টেশন থেকে হাওড়া ফেরিঘাটের দিকে যান। লঞ্চে উঠতে গিয়েই পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়েন অমিত। তাঁর হাতে একটি কালো ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় ফেরিঘাটে নাকা চেকিং করা পুলিশের। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে আটক করে ব্যাগ তল্লাশি শুরু করেন।

ব্যাগ খুলতেই দেখা যায়, সন্দেহই সত্যি। ব্যাগের ভিতর ৯ লক্ষ ৫১ হাজার ১৫০ টাকা নগদ আছে। কিন্তু কী কাজের জন্য এত টাকা নিয়ে ঘুরছিলেন আটক হওয়া ব্যক্তি তার সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁর কাছ থেকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করে ওই ব্যক্তি শুধু জানান, ওই টাকা নিয়ে কলকাতার বড়বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘মমতার সমর্থনে প্রচারে আসবেন না’, শরদ পাওয়ার-তেজস্বীকে চিঠি কংগ্রেসের

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী এখন ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ টাকা নিয়ে ঘোরা যায় না। সেই বিধি অনুযায়ীই এদিন জনৈক অমিত সাহাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনাটি আয়কর দফতরকে জানানো হয়েছে। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা এই টাকার উৎস জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।