করোনা নিয়ে মমতার সভায় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা! ভাঙড়ে তীব্র আতঙ্ক

লোকে লোকারণ্য মমতার (Mamata Banerjee) ভাঙড়ের সভা। তার মধ্যেই ছড়াল করোনা আতঙ্ক!

করোনা নিয়ে মমতার সভায় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা! ভাঙড়ে তীব্র আতঙ্ক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 05, 2021 | 5:08 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সভা শুরুর আগে ছড়াল করোনা (Covid-19) আতঙ্ক। সোমবার মমতার সভা শুরুর আগেই সভাস্থল ছাড়লেন ভাঙড় ২ ব্লক কার্যকরী তৃণমূল সভাপতি।

এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোজেহাটে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) রেজাউল করিমের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই সভা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো আঁটোসাঁটো। সভা মঞ্চে যারা উপস্থিত থাকবেন তাঁদের প্রত্যেকেরই করোনা র‍্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়। জানা গিয়েছে সেখানেই করোনা টেস্টের সময় এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার করোনা পজিটিভ আসে। তড়িঘড়ি তাঁকে বাড়ি পাঠান দলীয় নেতৃত্ব। এদিকে তার আগে ওই নেতার সংস্পর্শে আরও কোন কোন নেতা এসেছিলেন তাঁদের খোঁজ খবর করা হচ্ছে। মমতার হাইভোল্টেজ সভার আগে এ নিয়ে কার্যত আতঙ্ক ছড়ায় সভাস্থলে।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রীতিমতো রেকর্ড গড়ছে মারণ করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। সোমবারই উদ্বেগ বাড়িয়ে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। বাংলার অবস্থাও বিশেষ ভাল নয়। দৈনিক সংক্রমণ এখানেও গড়ে ১ হাজার ৭০০-র বেশি। এই পরিস্থিতিতে চলছে বিধানসভা ভোট। যা নিয়ে এদিনই ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা যায় মমতাকে। চুঁচুড়ার সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “এই অবস্থায় কি ভোটটা ৩, ৪ দফায় করে নেওয়া উচিত ছিল না? ৮ দফায় ভোট ঘোষণা করার পর এখন যদি করোনা পরিস্থিতি দেখিয়ে ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে কিন্তু চলবে না। খেলা যখন শুরু হয়েছে তখন শেষ করতে হবে।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এতে আসলে বিজেপিকেই বার্তা দিলেন মমতা।

এদিন হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের সমর্থনে সভা করার পর মুখ্যমন্ত্রী চলে যান সোজা চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। সেখানে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘বিজেপিরা হচ্ছে বক ধার্মিক। ওরা ছদ্মবেশী শয়তান, দানব, দুর্যোধন।’ ভাঙড় প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। এখানে যাঁকে প্রার্থী করেছি তিনি দীর্ঘদিন সমাজসেবা করে এসেছেন। রেজ্জাক মোল্লা সাহেব এখানকার বিধায়ক ছিলেন।” মমতা আরও জানান, রেজ্জাক মোল্লা তাঁকে নিজে থেকে বলেছেন, তিনি আর বয়সের কারণে ভোটে লড়তে চান না।

আরও পড়ুন: ‘লাথির’ পর কি তবে ‘দুধ কলা’? মমতার মঞ্চে ‘তাজা ছেলে’ আরাবুল

মমতার কথায় উঠে আসে আরাবুল ইসলামের কথাও। যিনি প্রার্থী হতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেখলাম ওদিকে আরাবুল আছে, কাইজার আছে, ওদিকে ইন্দাদুল আছে। কী আর করা যায়! ডাক্তার রেজাউল করিম পুরো চিকিৎসক সংগঠন নিয়ে এসেছেন, উনি সমাজসেবা করতে ভালবাসেন। উনি আমার কাছে টিকিট চেয়েছেন, এমন নয়। আমি নিজে দিয়েছি, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙড়ে একটা হাসপাতাল করব বলে চেষ্টা করছি।”