গণ্ডগোল হলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন, ভোট লুঠ হতে দেব না: শুভেন্দু

"আমার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েছিলেন উনি। গোলকিপার বেলা তিনটায় খেলতে নেমেছেন। কিছু করার নেই। বাংলা বিজেপিরই হবে।'' বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

গণ্ডগোল হলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন, ভোট লুঠ হতে দেব না: শুভেন্দু
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2021 | 7:09 PM

পূর্ব বর্ধমান: ভোটের দিন গণ্ডগোল হলে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করতে কর্মী-সমর্থকদের কাছে আবেদন করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, “হোয়াটসঅ্যাপ করলে পনের মিনিটে চলে আসবে কিউআরটি (কুইক রেসপন্স টিম)। লাঠির বাড়ি এমন দেবে কটকট করবে।”

বুধবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় বিজেপি প্রার্থীর মাণিক রায়ের সমর্থনে সভা করেন শুভেন্দু। সেখান থেকে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, “যে কায়দায় উনি এতদিন ভোট লুঠ করেছেন তা এবার হচ্ছে না। তাই উনি নানারকম কথা বলছেন।” এরপরই নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর পরামর্শ, “ভোটের দিন গণ্ডগোল হলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন। পনের মিনিটে কিউআরটি আসবে।”

বর্ধমানে শুভেন্দুর প্রতিশ্রুতি, বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় এলেই নলবাহিত পানীয় জল মিলবে বাড়ি বাড়ি। কৃষিপ্রধান জেলা বর্ধমানে ‘অহঙ্কারী মুখ্যমন্ত্রী’ চাষীদের ন্যায্য টাকা পেতে দেয়নি। সেই সব সমস্যার সমাধান করবেন তাঁরা, দাবি শুভেন্দুর। এদিনও তাঁর মুখে শোনা যায় ‘ভাইপো’ প্রসঙ্গ। বলেন, “বালি লুঠের সব টাকা তোলাবাজ ভাইপোর কাছে চলে যায়। বীরভূমের পাথর, বর্ধমানের বালি সব খাচ্ছে।” এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “নদীগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। বালির সব টাকা ভাইপোর কাছে যায়। বালির সব টেন্ডার পবন অরোরার কাছে যায়। যিনি ভাইপোর শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন।”

এদিন আবার নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ পর্বের কথা শোনা যায় বিজেপি প্রার্থীর মুখে। নন্দীগ্রামে জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী শুভেন্দুর কটাক্ষ, “আমার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েছিলেন উনি। গোলকিপার বেলা তিনটায় খেলতে নেমেছেন। কিছু করার নেই। বাংলা বিজেপিরই হবে।”

আরও পড়ুন: মতুয়া, রাজবংশী ও মুসলিমদের ভাঁওতা দিচ্ছেন মমতা: শান্তনু ঠাকুর

পূর্ব বর্ধমানের দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি খুনের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে রানাবাসীর কাছে শুভেন্দুর বার্তা, ভুলে যাবেন না মৃতদের মধ্যে একজন রায়নার বাসিন্দা ছিলেন। গেরুয়া শিবিরকে ভোট দেওয়ার আবেদন করে যোগ করেন, “এরা ১৪ সাল থেকে এসএসসি পরীক্ষা করেনি। শিক্ষিত বেকাররা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কাজ বলতে সিভিক বা আশাকর্মী। তাদের সংসার চলে না।”