করোনায় মৃত্যু দুই প্রার্থীর! সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ১৩ মে ভোট

চলছে নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021)। তারই মাঝে সামসেরগঞ্জ (Samserganj) ও জঙ্গিপুর (Jangipur) বিধানসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিত হয়ে যায় এই দুটি কেন্দ্রে।

করোনায় মৃত্যু দুই প্রার্থীর! সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ১৩ মে ভোট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 19, 2021 | 1:57 PM

কলকাতা: চলছে নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021)। তারই মাঝে সামসেরগঞ্জ (Samserganj) ও জঙ্গিপুর (Jangipur) বিধানসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিত হয়ে যায় এই দুটি কেন্দ্রে। এবার দুই কেন্দ্রের নির্বাচনের নতুন দিন ঘোষণা করল কমিশন। ১৩ মে মুর্শিদাবাদ জেলার এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। সোমবারই মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সামসেরগঞ্জ বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। ঠিক তার পরদিনই মৃত্যু হয় জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। সে কারণে দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিত হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু বাংলা। তার মধ্যে নির্বাচন আরও বিপদ বাড়িয়েছে। মিটিং, মিছিল, র্যালি, রোড শো অরক্ষিত মুখের ভিড় সুপার স্প্রেডারের কাজ করেছে। আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক প্রার্থী। স্বাস্থ্য সচেতকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বাতিল করা হোক নির্বাচনী প্রচার। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, সংক্রমণ রুখতে কেবল পুলিশই দায়িত্ব নেবে না, সতর্ক হতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরও। এখনও বাকি তিন দফা। তার মধ্যে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, ভাবাচ্ছে সকলকে।

রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজার ৪১৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২৭ জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি মুহূর্তে কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, “দেশজুড়ে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাংলার জনগণকে রক্ষা করতে সমস্তরকম প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আমি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ওষুধ এবং ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেই সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সব শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি, যাতে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কার্যকরী পদক্ষেপ করেন। এবং যে যে বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই করা হয়েছে, তা আরও ভালভাবে কার্যকর করা হয়।”

আরও পড়ুন: ‘যা হিসাব দেওয়া হচ্ছে, বাস্তবে তা নয়, পরিস্থিতি আরও খারাপ’! বেপরোয়া সংক্রমণ রুখতে আরও তৎপর রাজ্য

ইতিমধ্যে সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলি যাতে নতুন করে ওয়ার্ক ফর্ম হোম করে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। বাস, ট্রেন, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার সচেতন করা হচ্ছে। আজই বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বেড সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব।