উপস্থিত থাকার কথা ছিল নেত্রীর! করোনা আবহে নিজের নির্বাচনী সভা বাতিল করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

করোনা সংক্রমণে (COVID Situation) রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ! সে কথা মাথায় রেখে নিজের নির্বাচনী প্রচার (West Bengal Assembly Election 2021) বাতিল করলেন ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)।

উপস্থিত থাকার কথা ছিল নেত্রীর! করোনা আবহে নিজের নির্বাচনী সভা বাতিল করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2021 | 2:08 PM

কলকাতা: করোনা সংক্রমণে (COVID Situation) রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ! সে কথা মাথায় রেখে নিজের নির্বাচনী প্রচার (West Bengal Assembly Election 2021) বাতিল করলেন ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। আগামী ২২ এপ্রিল এই সভা হওয়ার কথা ছিল। সভা উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। করোনা উর্ধ্বমুখী গ্রাফচিত্র দেখেই নির্বাচনী প্রচার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম কোনও প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করলেন। আর কোনও বড় সভা তিনি করবেন না বলে সূত্রের খবর।

উইকিপিডিয়া বলছে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৭৬। এই পরিস্থিতি বাইরে বেরনো তাঁর পক্ষে ক্ষতিকর। তাছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানতে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীরা যাতে ডিজিট্যালি প্রচার করেন, তার অনুরোধ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, কোভিডে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক প্রার্থীর। নিজের কেন্দ্র ভোটগ্রহণের আগেই সংক্রমণে মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। প্রচারে বেরিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে কো-মর্বিডিটি হিসেবে ছিল ব্লাড সুগার। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। আরও বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কমিশন।

আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা পেরল হাজার! অবশেষে ভোটের দফা নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে নির্বাচন কমিশন

করোনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ্যে আসেননি অমিত মিত্র। বয়সের কারণে নিজেকে গৃহবন্দি করেছেন তিনি। তৃণমূলের বর্যীয়ান এই নেতা লড়লেন না এবারের নির্বাচনেও। । নির্বাচন সদনে ভোটের দফা কমানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এই নিয়ে নির্বাচনী আধিকারিকরা বসবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও। শেষ তিন দফার ভোট এক সঙ্গে হলে, আদৌ বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব কিনা। যে বাহিনী হাতে রয়েছে, তা পর্যাপ্ত কিনা, সে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে।