প্রার্থী ঘোষণার আগেই তৃণমূল নেতার নামে দেওয়াল লিখন! অখিল বললেন, ছেলেরা কাজ এগিয়ে রাখছে

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই রামনগরের বিদায়ী বিধায়কের নামে শুরু হল দেওয়াল লিখন, অখিল গিরি জানাচ্ছেন, "কাজ এগিয়ে রাখছিল ছেলেরা।''

প্রার্থী ঘোষণার আগেই তৃণমূল নেতার নামে দেওয়াল লিখন! অখিল বললেন, ছেলেরা কাজ এগিয়ে রাখছে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 28, 2021 | 5:29 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে শনিবার দিঘা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন বিদায়ী বিধায়ক অখিল গিরি। আর রবিবারই দেখা গেল তাঁর নামে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখনও। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন? অখিল গিরি জানাচ্ছেন, “কাজ এগিয়ে রাখছিল ছেলেরা।”

শুক্রবার আট দফায় নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে সব দলের অভ্যন্তরে সেই তালিকা তৈরি নিয়ে জোর তৎপরতা চলছে। কিন্তু এর মধ্যেই বারুইপুর পুর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জির নামে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করে হয়ে গিয়েছে। একই ছবি দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বিধানসভা এলাকাতেও। তবে এ নিয়ে বিদায়ী বিধায়কের প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূল নেত্রী আগেই জানিয়েছেন প্রচারে নেমে পড়তে। তবে ছেলেরা কাজ এগিয়ে রাখার জন্য দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছিল। আমি তাদের বারণ করে দিয়েছি।” প্রার্থী তালিকা ঘোষণা পর্যন্ত সমর্থকরা যেন দেওয়াল লিখনের কাজ না করে তা নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। অখিল যোগ করেন, কিছুদিন আগে খবর কাগজে বেরিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী বলেছেন যে যে কেন্দ্রে প্রার্থী ছিল সেখানেই হবে।

প্রসঙ্গত, অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে তখন জেলা তৃণমূলের অন্যতম প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন অখিল গিরি। অধিকারীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। এখন শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর অখিলের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী তাঁর করোনা হওয়ার পর নন্দীগ্রামে মমতার সভা মুলতুবি করে দিয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। একুশের ভোটেও পূর্ব মেদিনীপুরে অখিল গিরিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।

রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে এবার দুটি আসনের দিকে বিশেষ চোখ রাখছে রাজনৈতিক মহল। একটি হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর আর একটি হল নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে মমতা ভোটে দাঁড়ানোর কথায় আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিধানসভা কেন্দ্র। মমতা নিজে বলেছিলেন যে ভোটের সময় তিনি নন্দীগ্রামে বেশি সময় দিতে পারবেন না। কারণ তাঁকে ২৯৪টি বিধানসভা চষে বেড়াতে হবে। তবে ভোটের পর তিনি উন্নয়নের ব্যাপারটা ‘দেখে নেবেন।’ এখন এই কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারের গুরু দায়িত্ব রয়েছে সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরির মতো নেতাদের। এই প্রেক্ষিতে অখিলের রামনগর থেকে ফের ভোটে দাঁড়ানো প্রায় চূড়ান্ত হয়েই আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই প্রেক্ষিতে বাড়ির দেওয়াল থেকে পাঁচিলে শুরু হয় অখিল গিরির নামে দেওয়াল লিখন। তবে রামনগরের বিদায়ী বিধায়কের নির্দেশে সেই কাজ আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে শুরু দেওয়াল লিখন!

এদিকে কিছুদিন আগেই নেত্রীর ঘোষণার আগেই প্রার্থী হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন হাওড়া শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি। শনিবার একই কাজ করেছেন মালদহের তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্র।