Unknown Story: ‘ঋষিকে ভুলে দিব্যি আছেন’, ট্রোলারদের ধারনা ভুল. রীতিমত মনোবিদের কাছে ছুটেছিলেন নিতু
Neetu Kapoor: বদলে কঠিন সত্যি হল এটাই যে তিনি মোটেও তা রাতারাতি সামলে উঠতে পারেননি। এটাই অভিনেতাদের জীবন, এটাই অভিনেতাদের আসল পরিচয়।
ঋষি কাপুর প্রমাণের এক বছরের মাথায় হই-হই করে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। রিয়ালিটি শো-তে হাসির রোলে ঢলে পড়ছেন, কীভাবে পারছেন নিতু কাপুর। প্রশ্নবাণে জর্জরিত সেলেব। ঋষি কাপুর মারা যাওয়ার পর থেকেই কড়া নজরে ছিল এই পরিবার, রণবীর আলিয়ার লিভইন থেকে শুরু করে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি, পরিবারের বাকি সদস্যদের চলন বলন সবই ছিল সার্ভে লেন্সের আওতায়। তবে দীর্ঘ প্রেম, তারপর বিয়ে, নিতুর সঙ্গে ঋষির সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা মজবুত তা কারুর অজানা নয়। তবে তিনি সব ছেড়ে কীভাবে ভাল আছেন!
প্রশ্ন উঠতেই মুখ খুলেছিলেন নিতু কাপুর। জানিয়ে ছিলেন, তিনি পরিস্থিতি সামলাতে জানেন, জানান, ঋষি কাপুরও চেয়েছিলেন, তিনি হাসিখুশি থাকুক। বদলে কঠিন সত্যি হল এটাই যে তিনি মোটেও তা রাতারাতি সামলে উঠতে পারেননি। এটাই অভিনেতাদের জীবন, এটাই অভিনেতাদের আসল পরিচয়। বুক ফাটলেও মুখ ফোটে না। কারণ তাঁদের পরিচয়ই এটাই, কাজ করে যেতে হবে। তাই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন বললেই ব্যক্তিগত যন্ত্রণাকে লুকিয়ে ফেলতে হয় পলকে। নিতু কাপুরও ঠিক তেমনটাই করতেন। কারণ ঋষি কাপুর চলে যাওয়ার পর রীতিমত অস্থির অবস্থায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
ছুটে গিয়েছিলেন মনোরোগবিদের কাছেও। নিজেকে প্রতিটা ধাপে ধাপে এভাবেই সামলে ছিলেন নিতু কাপুর। ভুলে গিয়ে নয়, বরং সহ্য করতে না পেড়েই কঠিন সময় কাটিয়েছেন তিনি। তবে একটা সময়ের পর তিনি বুঝতে পারেন, ডাক্তার যা বলছেন, তার থেকেও বেশি শক্ত তিনি। তিনি পারবেন, তাঁকে পারতেই হবে। ডাক্তার যা যা করার উপদেশ দিচ্ছিলেন, সবটাই জানা ছিল তাঁর, কোনও কিছুই অজানা ছিল না নিতুর। তাই তিনি ঠিক করেন, নিজেই নিজেকে সামলে নেবেন। এবং তিনি পারেনও তাই। ঋষির অভাব অনুভুত হওয়া, কষ্ট পাওয়াই যেন তাঁকে ধীরে ধীরে সামলে ওঠার শক্তি যোগায় বলেনও জানান নিতু কাপুর।