Nachiketa Chakraborty: কতগুলো পাঁঠা চাইলেও আমায় ডি-গ্ল্যামারাইজ় করতে পারবে না: বিস্ফোরক নচিকেতা চক্রবর্তী
Tollywood Politics: আগুনপাখির কণ্ঠে আজও কি আগুন ঝরে? জোরাল হয় প্রতিবাদ? নাকি 'মন্ত্রীরা সব হারামজাদা/আস্ত বদের ধারি' বলতে অস্বস্তি হয় ইদানিং?
শাসকদলের ২১-এর শহীদ-মঞ্চে গান গেয়েছিলেন তিনি। নামের পাশে অচিরেই লেগেছে তৃণমূলপন্থী ট্যাগ। রাজ্যে দুর্নীতি সংক্রান্ত ঘটনায় যখন টালমাটাল গোটা সমাজ আগুনপাখির কণ্ঠে আজও কি আগুন ঝরে? জোরাল হয় প্রতিবাদ? নাকি ‘মন্ত্রীরা সব হারামজাদা/আস্ত বদের ধারি’ বলতে অস্বস্তি হয় ইদানিং? এই গানই যদি এখন লেখা হয় তবে কি বদলে যাবে গানের কথা? মুখ খুললেন গায়ক।
মুখ খোলা শুধু নয়, টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত দেখা গেল তাঁকে। বললেন, “না, একেবারেই না। রাজনীতির কোনও পরিবর্তন হবে না। যত দিন যাবে রাজনীতি তত খারাপ হবে। আরও ভ্রষ্ট লোক রাজনীতি শাসন করতে আসবে। অশিক্ষিত লোকেরা আসবে। কারণ শিক্ষিত লোকেরা রাজনীতি শাসন করতে চায় না। কারণ শিক্ষিত লোকেদের মধ্যে আজও ‘রিজারভেশন’ কাজ করে। শিক্ষিত লোক ডাক্তার হতে পারবে, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে কিন্তু রাজনীতিবিদ হতে তাঁর বড় সমস্যা।”
হালফিলে যখন একের পর এক মন্ত্রী কাঠগড়ায় তখন নচিকেতাকে যদি বলা হয় ওই বিশেষ গানটি গাইতে তিনি কি গাইবেন? তাঁর উত্তর, “আমি তো গাইছি। আমি আজও বলতে পারি, ‘মন্ত্রীরা সব হারামজাদা… আস্ত বদের ধাড়ি, তুড়ুক নাচে, মন্ত্রিসভা এখন বাইজি বাড়ি’। এরপরেই খানিক উত্তেজিত হয়েই সরাসরি আইটিসেলকে নিশানা করে তাঁর বক্তব্য, “যারা বলছে নচিকেতা এই সব গান এখন গাইছে না স্রেফ বাজে কথা। আমাকে ডি-গ্ল্যামারাইজ কতগুলো পাঁঠা করতে পারবে না। আমি বাংলা ভাষার উপর যে দাগটা রেখে গিয়েছি কতগুলো ফোড়ে আমার সম্পর্কে দু-পাঁচটা বাজে কথা বলে কিছুতেই আমাকে ম্লান করতে পারবে না।” তাঁর দাবি প্রতিবাদ দরকার হলে তিনি আজও করবেন। উঠবেন গর্জে। জোর গলায় বলবেন, ‘মন্ত্রীরা সব হারামজাদা’… মন্ত্রীরা শুনছেন?