ইন্ডাস্ট্রির ‘জেন্টলম্যান’ তিনি। এর আগে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে খুব একটা দেখা যায়নি ববি দেওলকে। কিন্তু ৫৩ বছরে এসে নিজেকে অন্যভাবে দর্শকমহলে তুলে ধরার জন্য এমনটাই করলেন তিনি। একই সঙ্গে জানালেন অস্বস্তির কথাও। গত ৩ জুন ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ববি দেওল অভিনীত সিরিজ ‘আশ্রম’-এর তৃতীয় পর্ব। ওই সিরিজেই অভিনয় করেছেন এষা গুপ্তা। এষার সঙ্গে বেশ কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য রয়েছে ববির। রয়েছে এক লাস্যময়ী নাচের দৃশ্যও। মধ্যবয়সে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মুখ খুললেন তিনি।
তাঁর কথায়, “দিনের শেষে আমরা সবাই অভিনেতা। সবাই পেশাদার। যখন কাজের প্রসঙ্গে আসে তখন একজন অভিনেতা জানেম তাঁর কী দরকার। কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে প্রথম বার যখন এমন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করি ভীষণ নার্ভাস লাগছিল আমার। আমার সহ অভিনেত্রী এষা আবার ভীষণ পেশাদার। সেই কারণেই বোধহয় ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল আমার জন্য।” তিনি আরও যোগ করেন, “আর সেই কারণেই মানুষও উপভোগ করেছেন।” আশ্রমের নেগেটিভ চরিত্রে দেখা গিয়েছে ববিকে। ভালমানুষের তকমা পাওয়া ববি কেন এই নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হলেন? ববির উত্তর, “আমি একটু চিন্তায় ছিলাম যাতে টাইপকাস্ট না হয়ে যাই। মনে হয়েছিল যদি আমার অনুরাগীরা আমার এই অবতার না নিতে পারেন? কিন্তু কেরিয়ারের এই মুহূর্তে আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি যেখানে এই চ্যালেঞ্জগুলো আমায় নিতে হবে। আমার কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করতে চাই আমি। তাই এই কাজের সুযোগ পাওয়া মাত্রই আমি আর না করিনি।” ‘আশ্রম’-এ তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। পেয়েছেন নানা তারিফ। তবে এ সবের মধ্যে একটি ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারেননি ববি। তাঁর কাছে এতদিনে ওটিই তাঁর পাওয়া সেরা প্রশংসা।
ববি যোগ করেন, “আমার মায়ের বন্ধু তাঁকে ফোন করে বলেন, আপনার ছেলে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিন্তু তাও কী মিস্ত লাগছে তাঁকে। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেও যে মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছেন– এটিই কি কম পাওয়া?” প্রথম দুই পর্বে সাফল্যের পর নির্মাতারা আরও এক সিজন তৈরি করেছেন ‘আশ্রম’-এর। এমএক্স প্লেয়ারে এই মাসেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার স্ট্রিমিংও।