‘তাণ্ডব’ বিতর্কে দ্বিতীয়বার বিবৃতি দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী অ্যামাজ়ন প্রাইম

গত বৃহস্পতিবার আমাজন প্রাইম ভিডিয়ো ইন্ডিয়া অরিজিনালস-এর প্রধান অপর্ণা পুরোহিতের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

‘তাণ্ডব’ বিতর্কে দ্বিতীয়বার বিবৃতি দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী অ্যামাজ়ন প্রাইম
'তাণ্ডব' নিয়ে বিপাকে অ্যামাজন প্রাইম।
Follow Us:
| Updated on: Mar 02, 2021 | 9:22 PM

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেশের মোট পাঁচ জায়গায় অপর্ণা পুরোহিত  (অ্যামাজ়ন অরিজিনালস, ভারত, প্রধান) এবং টিম তাণ্ডবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

 

আরও পড়ুন কাল বিজেপিতে যোগ দিয়েই আজ থেকে শ্রাবন্তীর জীবনে ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়’ শুরু

 

আজ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, অ্যামাজ়ন প্রাইম ভিডিয়ো তার ক্ষমা চেয়ে এক সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। অ্যামাজ়ন প্রাইম ভিডিয়ো লেখে—‘সম্প্রতি চালু হওয়া ফিকশনাল সিরিজ ‘তান্ডব’-এর বেশ কিছু দৃশ্য আপত্তিকর বলে মনে করেছিলেন দর্শক। এর জন্য অ্যামাজ়ন প্রাইম ভিডিও গভীরভাবে শোকাহত। এটি আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না এবং যে দৃশ্যগুলো নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল তা আমাদের নজরে আসার পর সেগুলো সরিয়ে এবং আবার করে এডিট করা হয়েছে।

 

 

 

 

দর্শকদের বিশ্বাসকে আমরা শ্রদ্ধা করি এবং এই দৃশ্যগুলোর কারণে যাঁরা ভাবাবেগে আঘাত পেয়েছেন তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমাদের টিম বিষয়বস্তু মূল্যায়নের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং আমাদের দর্শকদের আরও ভাল কিছু পরিবেশনের জন্য নিয়মিত নিজেদের আপডেট রাখে। ভারতীয় আইনের অধীনে থেকে দর্শকের সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের বৈচিত্র্যকে সম্মান করে বিনোদনমূলক কনটেন্টের বিকাশ আমরা চালিয়ে যাব।’

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ali Abbas Zafar (@aliabbaszafar)

 

এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অ্যামাজ়ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দর্শকের কাছে ক্ষমা চাইল। গত বৃহস্পতিবার আমাজন প্রাইম ভিডিয়ো ইন্ডিয়া অরিজিনালস-এর প্রধান অপর্ণা পুরোহিতের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ হিন্দু দেবদেবীদের অপমানের যে মনোভাব বারবার হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দেখাচ্ছে তার ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।

 

tandav

বিতর্কিত সেই দৃশ্য।

 

‘লাইভ ল’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী কোর্ট জানায়, ‘পশ্চিমী ফিল্মমেকাররা যিশু অথবা ধর্মগুরু নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা থেকে বিরত থাকলেও, হিন্দি ফিল্মমেকাররা বারবার এই কাজ করে চলেছেন, এখনও করছেন। যদি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই মনোভাব এখনও না বদলানো সম্ভব হয় তাহলে এর ফল ভারতীয় সামাজিক, ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হবে।’