Parno Mittra: ‘একদা রান্নাঘরে ঝড় তুলত, আজ সে সব ভুলে যায়…’, মা’কে নিয়ে চিঠি পার্নোর
Parno Mittra: মাতৃদিবসে মা'কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট-- ভাল নাকি খারাপ-- তা নিয়ে বিতর্ক হাজারও। 'মায়েদের প্রতিদিন' পোস্টেও প্লাবিত সোশ্যাল মিডিয়া। তবু রবিবার সকাল থেকেই ফেসবুক-ইনস্টা পাড়ায় মা'কে মনে করার দিন ছিল। কত পোস্ট, কত কী...
মাতৃদিবসে মা’কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট– ভাল নাকি খারাপ– তা নিয়ে বিতর্ক হাজারও। ‘মায়েদের প্রতিদিন’ পোস্টেও প্লাবিত সোশ্যাল মিডিয়া। তবু রবিবার সকাল থেকেই ফেসবুক-ইনস্টা পাড়ায় মা’কে মনে করার দিন ছিল। কত পোস্ট, কত কী… মা’কে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন পার্নো মিত্রও। এমনিতে মা’কে নিয়ে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না তাঁকে। ছবির সংখ্যাও কম। তবে তাঁর কাছের মানুষেরা জানেন, মা আর মা নেই তাঁর, সন্তানসম। মায়ের ছবি শেয়ার করে পার্নো এমন কিছু কথা শেয়ার করেছেন যা তাঁর অত্যন্ত ব্যক্তিগত। পার্নো লেখেন, এই মানুষটা যাকে মা বলে ডাকি, তাঁর সম্পর্কে খুবই কম কথা বলেছি এ যাবৎ। উনি আর আমার মা নন। এক টিনএজার আর শিশুর যুদ্ধ এটি। একটা ভাল দিনে সে গান গাইবে, মজা করবে। আর খারাপ দিনে, ঠিক একজন পাঁচ বছরের বাচ্চার মতো… ফিমার বোন ভেঙে সে এখন শারীরিক ভাবে খানিক অক্ষমই। তিন মাসের মধ্যে স্বামীকেও হারিয়েছ সে। তাঁকে ছুঁতে পর্যন্ত পারেনি। সেই ব্যথা… তা সে শুধু নিজেই জানে, কখনও শেয়ার পর্যন্ত করেনি।”
View this post on Instagram
থামেননি তিনি। লিখেছেন আরও। অভিনেত্রী যোগ করেন, “২০১৬ সালে তাঁর দৃষ্টিশক্তি চলে যায়। যে মানুষটা একসময় ৩৬টা পদ বানিয়ে রান্নাঘরে ঝড় তুলতে পারত সে এখন আর কিছুই মনে রাখতে পারে না। যে মানুষটা শিফন শাড়িতে পরে ‘হট কেক’ হয়ে আমাকে স্কুল থেকে আনতে যেত সে এখন আর প্রায় হাঁটেই না। কিন্তু ওই যে তাঁর বাঁচার ইচ্ছেটাই আমাকে জীবনে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।”
পার্নোর ওই পোস্টে আবেগঘন কাছের বন্ধু মিমি চক্রবর্তী থেকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও। মিমি লিখেছেন, “আমি জানি কতটা পরিশ্রম তুই করে থাকিস পার্নো। এগিয়ে যা”। অন্যদিকে শুভশ্রীর কথায়, “এখন চরিত্রের বদল ঘটে গিয়েছে। তুমি মা আর মা তুমি। মাতৃদিবসের অনেক শুভেচ্ছা। নেটিজেনরাও জানিয়েছেন ভালবাসা। মা’কে নিয়ে ভাল থাকুক মেয়ে– এমনটাই যে চান তাঁরা।