Tarun Majumdar Health Update: ভাল নেই তরুণ মজুমদার, স্থিতিশীল হলেও অবস্থা সঙ্কটজনক, জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা
Health Update: সোমবার হঠাৎই অবস্থার অবনতি ঘটায় আজ তড়িঘড়ি ডাক্তারদের এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পরিচালক রয়েছেন বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টেই। রক্তচাপও কমেছিল বেশ কিছুটা।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন বাংলা সিনেমাজগতের বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার ( Tarun Majumdar ) । কিডনির সমস্যা নিয়েই প্রথম ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন তিনি। অবস্থা ভাল না থাকায় তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এখন কেমন আছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার? আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মেন ব্লকের সিসিই- তে। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকরা জানান, অবস্থা আশংকাজনক হলেও তা নিয়ন্ত্রণে। সাড়া দিচ্ছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। আপাতত স্থিতিশীল অবস্থা তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ। হার্টের অবস্থা খারাপ ছিল আগে থেকেই, পাম্প করার ক্ষমতা কমেছে। যার ফলে দুই মিলিয়ে শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন পরিচালক। ২০০০ সাল থেকে কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁর। ফুসফুসের সমস্যাতেও কয়েক বছর ধরে ভুগছেন পরিচালক।
তরুণবাবুর চিকিৎসায় যুক্ত এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, “৯২ বছর বয়স। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ রয়েছে। লিভারের সমস্যা রয়েছে। হাইপো থাইরোয়েডিজম রয়েছে। অর্থাৎ TSH পরীক্ষা করে এদিনের রিপোর্ট ভাল নয়। স্বাভাবিকের তুলনায় যার মাত্রা ১০০- র বেশি। এটা বিপজ্জনক মাত্রা। যা কার্ডিয়াক এরেস্ট এর প্রবণতা বাড়ায় বা মাল্টি অর্গান এর ক্ষতি করতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোনও অবনতি হয়নি। ” অপর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, সিসিইউ-তে রাখার পর রাইলস টিউব লাগানো হয়। তার মাধ্যমে খাওয়ানো হচ্ছে। এদিন সামান্য খেয়েছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। শ্বাস কষ্ট থাকায় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রতি ঘন্টায় ৪ থেকে ৬ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তরুণবাবু “এসপিরেশন নিউমোনিয়া”তে আক্রান্ত। যখন খাদ্যনালী থেকে খাবার জলের অংশ কোনও ভাবে শ্বাসনালীতে পৌঁছে তা ফুসফুসে ঢুকে পড়ে, সংক্রমণ ছড়ায় তখন তাকে এস্পিরেশন নিউমোনিয়া বলে। তরুণ মজুমদারের ফুসফুসে সেই সংক্রমণ সমস্যা তৈরি করেছে। বুধবার আরও কিছু পরীক্ষা করানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার হঠাৎই অবস্থার অবনতি ঘটায় আজ তড়িঘড়ি ডাক্তারদের এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পরিচালক রয়েছেন বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টেই। রক্তচাপও কমেছিল বেশ কিছুটা। যদিও বর্তমানে তা স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী বৈঠক করেই পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মত একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।