Health Tips: উৎসবের মরসুমে কীভাবে প্রতিরোধ করবেন বদহজমের সমস্যা? টিপস দিলেন পুষ্টিবিদ
উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার অর্থই হল ক্যালোরি নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে, জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা। সামনেই শুরু হচ্ছে কালী পুজো, তারপরেই ভাইফোঁটা- মানে আনন্দের ফুল প্যাকেজ। এই আনন্দের মাঝে কোনও ভাবেই তো ডায়েট মেনে চলা যায় না। কিন্তু প্রতিদিন লাগাম ছাড়া খাওয়াও শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করে। মূলত, এই সুস্বাদু এবং মুখরোচক খাওয়া-দাওয়ার মাঝে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং স্ফীতভাবের সমস্যা দেখা দেয়।
উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার অর্থই হল ক্যালোরি নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে, জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা। সামনেই শুরু হচ্ছে কালী পুজো, তারপরেই ভাইফোঁটা- মানে আনন্দের ফুল প্যাকেজ। এই আনন্দের মাঝে কোনও ভাবেই তো ডায়েট মেনে চলা যায় না। কিন্তু প্রতিদিন লাগাম ছাড়া খাওয়াও শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করে। মূলত, এই সুস্বাদু এবং মুখরোচক খাওয়া দাওয়ার মাঝে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং স্ফীতভাবের সমস্যা দেখা দেয়।
কিন্তু উৎসবের মাঝে একদিনও শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার অর্থ হল পুরো আনন্দটাই মাটি হয়ে যাওয়া। তাই খাওয়া দাওয়া তো চলবেই এবং তার মাঝেই খেয়াল রাখতে হবে শরীরে। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং স্ফীতভাবের সমস্যাকে এই উৎসবের মাঝে কীভাবে প্রতিরোধ করবেন তার জন্য বিশেষ টিপস দিলেন সেলেব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামের আইজিটিভি ভিডিয়োতে শেয়ার করেছে ৫টি টিপস, যা মেনে চললে আপনি শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই উৎসবের সমস্ত আনন্দ নিতে পারবেন।
View this post on Instagram
দিন শুরু করুন গুলকান্দের জল দিয়ে- গুলকান্দ হল গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি এক প্রকার মিষ্টি সিরাপ। রুজুতা বলেছেন, এই গ্যাস, বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি দিন শুরু করুন এই গুলকান্দের জল পান করে। গুলকান্দ এবং জলের সংমিশ্রণ পেটকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনি গুলকান্দ বাজারে না পান, তাহলে তার বদলে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং স্ফীতভাবের সমস্যাও দূর করা যায়।
দিনের বেলার একটি পাওয়ার ন্যাপ নিন- ঘুমোতে কার ভাল লাগে না! তবে শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্য রাতের ঘুম গভীর হওয়া দরকার। তার সঙ্গে প্রাতঃরাশের পরে ২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নেওয়ার উপদেশ দিলেন পুষ্টিবিদ রুজুতা।
দুপুরের খাওয়া শেষ করুন ১/২ কলা দিয়ে- লাঞ্চ খাওয়ার পর অর্ধেক কলা দিয়ে খাওয়া শেষ করুন। কলা দ্রুত আপনার হজম ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশেষত আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার অ্যাসিডিটি, স্ফীতভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
সন্ধ্যের সময় যোগাসন করুন- সন্ধ্যেবেলা ২-৫ মিনিটের জন্য শুধু সুপ্ত বদ্ধ কোনাসান করুন। এই যোগাসন আপনাকে শিথিল করতে সাহায্য করে। তাই উৎসবের মরসুমে নিয়মিত যোগাসন করার সময় না পেলেও সন্ধ্যেবেলা এই যোগাসনটি নিয়মিত করুন।
ডিনারে কাঞ্জি বা রাইস পেজের সঙ্গে ঘি খান- আপনার যদি মিষ্টির প্রতি ক্রেভিং হয়, তাহলে কাঞ্জি বা রাইস পেজে পান করুন। এটি আপনার খিদেকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং স্ফীতভাবের সমস্যাকে দূর করে।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশিতে জেরবার! রইল ৭ জরুরি ঘরোয়া উপায়