জুতো মোজা পরলে শীতকালে পায়ে বেশি দুর্গন্ধ হয়। এছাড়াও যদি জুতো ভেজা থাকে আর আপনি তা পায়ে গলিয়ে নেন সেখান থেকেও হতে পারে এই দুর্গন্ধের সমস্যা। শুধু তাই নয়, এই গন্ধের কারণও কিন্তু হতে পারে অন্য একাধিক শারীরিক সমস্যা।
ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা থেকেও হতে পারে পায়ে দুর্গন্ধ। পায়ে ঘাম হলে তা জুতো ও মোজায় আটকে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে যায়। সেখান থেকে দুর্গন্ধযুক্ত প্রোপিওনিক অ্যাসিড তৈরি করে। যা প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়ার দ্বারা অ্যামিনো অ্যাসিড ভেঙে যাওয়ার পর গঠিত হয়। যা পায়ের গন্ধের কারণ হতে পারে।
পায়ের গন্ধ যদি অত্যধিক হয় তাহলে তাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় হাইপারহাইড্রোসিস। এর দু ধরণ রয়েছে। প্রাথমিক ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস এবং সেকেন্ডারি ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস। খুব বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরও যদি তীব্র ঘাম হয় তাহলে সেই সমস্যাকে হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়।
সেকেন্ডারি ফোকাল বাইপারহাইড্রোসিসের নানা কারণ থাকতে পারে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, ছত্রাক সংক্রমণ, মেনোপজের পর হট ফ্লাশ, রক্তে শর্করা কমে গেলে এই রকম সমস্যা বেশি হয়। কিডনির সমস্যায় অতিরিক্ত ইউরিয়া জমতে থাকলেও সেখান থেকে এই সমস্যা হতে পারে।
আর তাই এমন সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। পাশাপাশি সুতির মোজা পরা, পা শুকনো রাখা, জুতো পরার আগে পায়ে পাউডার ছিটিয়ে নেওয়া এসব করুন। পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া রোগেরও লক্ষণ। ডায়াবেটিস, কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যাও কিন্তু হতে পারে এর কারণ।
সেই সঙ্গে রোজকার খাবারে আনুন পরিবর্তন। মাছ, মাংস একেবারে কম খান। তেল মশলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ভিটামিন সি বেশি করে খেতে হবে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে নিজের মনও ভাল থাকবে।