Body Detox Tips: শরীরে জমছে ময়লা? এই উপায়ে দূর করুন, পরামর্শ আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের
Ayurvedic body detox at home: জীবনে যদি ভারসাম্য না থাকে, নিজেদের মত রুটিনে জীবন চালালে সেখান থেকে এই সমস্যা হবেই
আজকাল সুঅভ্যাস খুব কম মানুষের মধ্যেই রয়েছে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, দূষণ, ধূমপান, মদ্যপান এবং কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে শরীরে। সেই সঙ্গে এক জায়গায় বসে কাজ, ভাজাভুজি খাবার এসব তো আছেই। স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের পরিবর্তে অধিকাংশই ভাবিত তাঁর রোজকারের খাবার নিয়ে। আজকাল অর্থ সকলের হাতেই। তাই সকলেই চান ভাল ভাল খাবার খেতে। ভাল খাবারে মেদ বাড়ে, কোলেস্টেরল বাড়ে সঙ্গে ডায়াবেটিস আর হাইব্লাপ্রেশার তো আছেই। রোজকার জীবনে বাড়ছে চাপ। তাই মন ভাল রাখতে ঝোঁক বেড়েছে পিৎসা, বার্গার, চিজ কেক, চকোলেট পেস্ট্রি, চিপসের মতো খাবারের উপর। এই সব খাবার থেকেই আসছে নানা লাইফস্টাইল ডিজিজ। যে সমস্যায় শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমছে, সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশনও হচ্ছে না ঠিক ভাবে। টক্সিন জমছে শরীরের কোষে। এখান থেকে আসছে একাধিক সমস্যা।
বডি যদি সঠিক ভাবে ডিটক্স না হয় তাহলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সচল এবং পরিষ্কার রাখতে ভীষণ ভাবে জরুরি হল ডিটক্সিফিকেশন। সেই সঙ্গে আয়ুর্বেদ মতে প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই এই ত্রিদোষ থাকে। ভাত, পিত্ত, কফের জন্য যে সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। যে কারণে সুস্থ থাকতে শরীরকে পরিষ্কার রাখতে হবে।
শরীরে ময়লা জমে যাওয়ার কারণ…
জীবনে যদি ভারসাম্য না থাকে, নিজেদের মত রুটিনে জীবন চালালে সেখান থেকে এই সমস্যা হবেই। একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে না চললে শরীরে ময়লা বেশি জমবেই। তখন টক্সিনও তৈরি হয় না ঠিক ভাবে।
আর তাই যা কিছু মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছে আয়ুর্বেদ-
প্রাণায়ম করুন- নেতি এবং নাস্য হল প্রাচীন আয়ুর্বেদিক অনুশীলন। যা আমাদের শ্বাসযন্ত্রকে শক্তিশালী করে। অতিরিক্ত কফ দূর করে। আর তাই নিয়ম করে প্রাণায়ম করুন। সেই সঙ্গে ভেপার নেওয়ার কথাও বলা রয়েছে আয়ুর্বেদে। গরম জলের মধ্যে সূর্যমুখী, ব্রাহ্মী বা ইউক্যালিপট্যাস তেল ফেলে ঘ্রাণ নিতে পারেন। এতে নাসারন্ধ্র ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকে।
গার্গল করুন- গলা, দাঁত এবং পেট পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত গার্গল করুন। সেই সঙ্গে ইষদুষ্ণ জলে শুরু করুন আপনার দিন। নিয়মিত ভাবে গার্গল করলে গলা থাকবে পরিষ্কার। বসবে না কফ। দাঁত মেজে গরম জলে কুলি করতে পারলে দাঁতের কোনও রকম সমস্যা হবে না। আর দিনের শুরুতে গরম জল খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে না। পেটও থাকবে পরিষ্কার। অ্যালার্জি, হাঁপানির মত সমস্যাও থাকে দূরে।
কপালভাতি- আয়ুর্বেদে কপালভাতি হল শক্তিশালী অনুশাসন। যা কিডনি, ফুসফুস ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া ভীষণ রকম জরুরি। নাক দিয়ে শ্বাস নিলে আর ছাড়লে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য, সাইনাস, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, হার্নিয়া নিরাময় করতে ভীষণ রকম কার্যকরী এই কপালভাতি। শরীর সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকে এই ব্যায়ামেই।