Weight Loss Tips: উপোস রাখেন? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবেন না

Intermittent Fasting For Weight Loss: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর অনেক নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এতে নাকি মহিলাদের মুড সুইংসের সমস্যা বাড়ে।

Weight Loss Tips: উপোস রাখেন? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবেন না
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সম্পর্কে এই তথ্য গুলি জানতেন? জেনে নিন কী বলছে গবেষণা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 9:24 AM

আজকাল শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে জেরবার অনেকেই। এই ওজনের জন্য কম কসরত করেননা মানুষজন। জিম করা থেকে শুরু করে ডায়েট (Diet) মেনে চলা সবই চলে। তবে এখন ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি খুব পরিচিত পদ্ধতি হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting)। অনেকেই আজকাল চটজলদি বাড়তি ওজন ঝরাতে ভরসা রাখছেন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ। তবে গবেষণা বলছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ ৬ বছর অবধি ওজনের কোনও পরিবর্তন হয় না। এবং শরীরের উপর এর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বরং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের দিকে খেয়াল রাখলেই তাড়াতাড়ি ওজন কমানো  (Reducing Calories) সম্ভব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী?

এতে খাবারের ক্ষেত্রে সেভাবে কোনও বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে দিনে ছয় থেকে আট ঘন্টার মধ্যে শরীরের যা দরকার তা খেয়ে নিতে হয়। বাকি ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা আর কিছু খাওয়া চলবে না। তবে গবেষণা বলছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে ৬ বছরের মধ্যে সাধারণ মানুষের ওজন কমে না। তবে স্থূলকায় মানুষদের জন্য এটি তাও ইতিবাচক ফলাফল দেয়। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর অনেক নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এতে নাকি মহিলাদের মুড সুইংসের সমস্যা বাড়ে। এ ছাড়াও খিদে ও রাগ বেড়ে যায়, কর্মক্ষমতা কমে, এমনকি মানসিক অবসাদ আসে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ সেই অর্থে কোনও ডায়েট না থাকায় মানুষজন অত্যধিক ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে নেন যা শরীরের ক্ষতি করে। এতে মহিলাদের পিরিয়ডের সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।

ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ:

বাড়তি ওজন ঝরাতে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণকেই কার্যকর পদ্ধতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হলেও শরীরের জন্য ভাল। এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গেই পাতে রাখতে হবে বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফল। সারাদিনে কত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট গ্রহণ করছেন তার হিসেব রাখা জরুরি। সেক্ষত্রে একটি ডায়েট তালিকা মেনে চলুন। ডায়েটে লো-ক্যালোরি যুক্ত খাবার রাখুন। ভাজাভুজি, মাখন, চিজ় যুক্ত খাবার একেবারে ছোঁবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এই নিয়মে যদি নিজেকে বেঁধে ফেলতে পারেন আপনার বাড়তি ওজন ঝরতে বাধ্য।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।