Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যানসার মহিলাদের মধ্যে চতুর্থ সবচেয়ে সাধারণ রোগ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Women Cancer: এইচপিভি ভাইরাস জরায়ু মুখের ক্যানসারের প্রধান কারণ। এছাড়াও অসুরক্ষিত যৌন মিলনের কারণেও জরায়ু মুখের ক্যানসার দেখা দেয়।

Cervical Cancer: সারভাইক্যাল ক্যানসার মহিলাদের মধ্যে চতুর্থ সবচেয়ে সাধারণ রোগ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2022 | 6:59 AM

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সম্প্রতি পালিত হয়েছে Cervical Cancer Elimination Day of Action, অর্থাৎ জরায়ু মুখ ক্যানসার নির্মূল কর্ম দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এ বছর দ্বিতীয় বর্ষ পালিত হয়েছে। এই জরায়ু মুখ ক্যানসার মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। ২০২০ সালে প্রায় ৬০৪,০০০ জন মহিলা নতুন করে জরায়ু মুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪২,০০০ জনের, যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মহিলা রয়েছে যথাক্রমে ৩২ শতাংশ ও ৩৪ শতাংশ।

জরায়ু মুখ ক্যানসার হল মহিলাদের মধ্যে চতুর্থ সবচেয়ে সাধারণ ক্যানসার। মূলত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মহিলাদের মধ্যে এই রোগ সবচেয়ে দেখা যায়। জরায়ু মুখ ক্যানসারে প্রথমে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এই ক্যানসারের লক্ষণ অনেক পরে শরীরে প্রকাশ পায়। সচেতনতা এবং চিকিৎসার অভাবে অবস্থার অবনতি হয়। এই রোগের হাত থেকে নারীদের সুরক্ষিত করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ একত্রে টিকাকরণ শুরু করেছে। ভুটান, মায়নামার, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড এইচপিভি টিকা চালু করেছে। ভারত ও বাংলাদেশেও শীঘ্রই এই টিকা চালু হয়। এতে লক্ষাধিক মেয়ে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভাইরাস জরায়ু মুখের ক্যানসারের প্রধান কারণ। এছাড়াও অসুরক্ষিত যৌন মিলনের কারণেও জরায়ু মুখের ক্যানসার দেখা দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের তেমন কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। এইচপিভি ভাইরাসের সংক্রমণেই জরায়ু মুখের ক্যানসার দেখা দেয়। সাধারণত ৩৮ থেকে ৪২ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই ক্যানসার সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। এমনকী ৬০ বছরের পরও এই রোগ দেখা দিতে পারে।

বিশ্বব্যাপী এই রোগকে প্রতিরোধ করার জন্য টিকাকরণ চালু করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই পাঁচটি দেশ। পেপস স্মেয়ার টেস্ট-এর মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করা হয়। কিন্তু অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মহিলাদের কাছে চিকিৎসার সুবিধা অনেক কম। তাছাড়া এই ধরনের দেশগুলোতে জরায়ু মুখ ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা পায় না তারা। এতেই মারণ আকার ধারণ করে জরায়ু মুখ ক্যানসার।

এইচপিভি টিকা যাতে দেশের সমস্ত মহিলারা পান তা নিশ্চিন্ত করতে চায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। এতে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত জরায়ু মুখ ক্যানসারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করা যাবে। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য জনস্বাস্থ্যকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এইচআইভি, এইডস, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং ক্যানসার নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবেই জরায়ু মুখ ক্যানসারের হাত থেকে মহিলাদের সুরক্ষিত করা যাবে।,