Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন? সমাধানের পথ দেখালেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক

Ayurvedic Tips: অনেক সময় বংশগত কারণে কিংবা কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।

Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন? সমাধানের পথ দেখালেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 8:00 AM

কোষ্ঠকাঠিন্য হল এমন একটি সমস্যা যার সম্পর্কে আপনি খোলাখুলি আলোচনাও করতে পারেন না, পাশাপাশি কষ্ট সহ্যও করা যায় না। যাঁদের রোজ পেট পরিষ্কার হয় না তাঁদের একমাত্র বোঝেন এই সমস্যার কথা। মলত্যাগ করতে সমস্যা হয়। পাশাপাশি দিনে একাধিক বার বাথরুম গেলেও সমস্যার সমাধান হয় না। আসলে জল কম খেলে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার না খেলে মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় বংশগত কারণে কিংবা কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পরিপাকতন্ত্রে কু-প্রভাব পড়ে। এছাড়া মাথাব্যথা, গ্যাস, খিদে না পাওয়া, দুর্বলতা ও বমি বমি ভাব, মুখে ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময়, শুধুমাত্র কয়েক দিনের জন্য এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ওষুধের বদলে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন। সেই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো কী-কী তার সন্ধান দিয়েছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার।

কিশমিশ- কালো কিশমিশ ফাইবার সমৃদ্ধ, যা মলকে আলগা করে এবং সহজভাবে মলত্যাগে সাহায্য করে। এই কারণে, মল পাস করার সময় খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয় না। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ও অ্যাসিডিটির সমস্যা অনায়াসে এড়ানো যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে কিশমিশ শুকনো খাবার, তাই তারা আপনার বাত দোষকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই জলে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া ভালো, এতে হজমে সমস্যা হয় না।

মেথি বীজ- মেথি বীজ খেলে আপনার হজমশক্তি উন্নত করতে পারে। কিন্তু পিত্ত দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি এড়ানো উচিত। ডাঃ দীক্ষা পরামর্শ দিয়েছেন যে ১ চা চামচ মেথির বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আপনি এই বীজের গুঁড়োও তৈরি করতে পারেন এবং ঘুমানোর সময় গরম জলের সঙ্গে ১ চা চামচ মিশিয়ে খেতে পারেন।

আমলকীর রস- আমলকী একটি চমৎকার রেচক। নিয়মিত সকালে খালি পেটে আমলকীর রস খেলে এটি চুল পড়া, অকাল পক্ক চুল, ওজন হ্রাস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাতেও সাহায্য করে। আপনি চাইলে কাঁচা আমলকী কিংবা শুকনো আমলকী গুঁড়ো করেও খেতে পারেন।

ঘি- গরুর দুধে তৈরি ঘি শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভাল। এটি আপনার বিপাককে উন্নত করে। এটি আপনাকে শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি বজায় রাখতে সাহায্য করে যা ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-এর মতো চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণের জন্য অপরিহার্য।

দুধ- দুধ একটি প্রাকৃতিক রেচক, যা মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। এটি শিশু থেকে বয়স্ক নাগরিকদের প্রায় সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর। এটি গর্ভবতী মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে দুধ পান করতে পারেন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা জানান, পিত্ত প্রকৃতির মানুষের জন্য দুধ খাওয়া খুবই উপকারী। ঘুমানোর সময় এক গ্লাস উষ্ণ দুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য যথেষ্ট।