Lose Weight Tips: ওজন কমাতে এই শীতে দেদার খান সেদ্ধ ডিম! কাজ হবে ম্যাজিকের মতো

Boiled Eggs in Winter: এটা সেটা খাওয়া বাদ দিয়েও ওজন কমছে না? তাহলে এই শীতকালটাই বেছে নিন ঝরঝরে জন্য। আর ডায়েটে রাখুন সেদ্ধ ডিম! কাজ হবে ম্যাজিকের মতো।

Lose Weight Tips: ওজন কমাতে এই শীতে দেদার খান সেদ্ধ ডিম! কাজ হবে ম্যাজিকের মতো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 1:54 PM

আপনিও কি সেই ব্যক্তি যে সকালটা শুরু করেন ডিম দিয়ে? কীভাবে খান ডিম? ওমলেট নাকি পোচ করে? অথবা সেদ্ধ ডিমই (Boiled Eggs)  আপনার সবচাইতে বেশি পছন্দ? তাহলে ভালো খবরটা শুনুন। ডিম সত্যিই উপকারী। একাধিক উপকারী উপাদান রয়েছে ডিমে। তবে ভাজা ডিম খেলে কিন্তু বিশেষ উপকার নেই। ওমলেট স্বাদু হলেও পুষ্টিগুণ প্রায় সবই নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং ফোকাস করুন বয়েলড ডিমে। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমাতে (Lose Weight) চাইছেন ঘাম না ঝরিয়ে এবং শুধু ডায়েট কন্ট্রোল করে, তাঁদের কাছে সেদ্ধ ডিম হয়ে উঠতে পারে আশীর্বাদস্বরূপ। আর হ্যাঁ, সেদ্ধ ডিম কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও (Immunity Boost) বাড়ায়। এই শীতে (Winter Season) যা আপনার আরও বেশি করে দরকার। তাহলে আর দেরি নয়। আজ থেকেই শুরু করুন সেদ্ধ ডিম খাওয়া। আর তার জন্য দরকার পড়বে একটা স্যসপ্যান, একটু জল আর ডিমের। প্রশ্ন হল কটা ডিম খাবেন? আর ডিমের কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে?

উপকারী ফ্যাট

সেদ্ধ ডিমে রয়েছে উপকারী ফ্যাট। শরীরের পক্ষে উপকারী ফ্যাট বিভিন্ন অঙ্গকে রক্ষা করে। শরীর রাখে উষ্ণ। আর তাই ঠান্ডা পড়লেও চিন্তা করতে হয় না।

মজবুত হাড়

ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি যা একদিকে হাড় শক্তিশালী করে। অন্যদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য

প্রভূত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে ডিমে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টকে রক্ষা করে। এছাড়া রয়েছে কোলিন নামে উপাদান। এই উপাদানটি সেল মেমব্রেন তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া মস্তিষ্কে বার্তা পোঁছতে সাহায্য করে এমন অণু তৈরিতেও কার্যকারী ভূমিকা নেয়।

ওজন ঝরাতে

‘লিন প্রোটিনে’র দুর্দান্ত উৎস ডিম। এছাড়া ডিমে আছে শরীর গঠনের জন্য জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড। ক্যালোরিও থাকে অত্যন্ত কম। তাই বেশ কতকগুলি ডিম খেলেও ওজন বিশেষ বাড়ে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম দারুণ কার্যকরী। ঘন ঘন যাঁরা সর্দি-কাশিতে কিংবা জ্বরে ভোগেন, তাঁদেরও রোজ ডিম খাওয়া উচিত। কারণ, ডিমে থাকা জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২। এই পুষ্টি উপাদানগুলিও দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম।

কিছু মিথ এবং তার উত্তর

১) অনেকেই মনে করেন, ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। সত্যিই কি তাই? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ডিমে থাকে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। বেশিরভাগ কোলেস্টেরলই থাকে কুসুমে। তাই অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে কুসুম বাদ দিয়ে খান। সাদা অংশ খেলে কোনও সমস্যা নেই। এমনকী পুষ্টিবিদদের দাবি, সপ্তাহে দু’টি ডিমের কুসুম খাওয়াই যায়।

২) কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ যেমন হার্টের সমস্যা স্ট্রোকের রোগীও ডিম খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কুসুম বাদ দিয়েই খেতে হবে।

৩) রোজ কি ডিম খাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তি দিনে দু’টো ডিম খেতে পারেন। সপ্তাহে খাওয়া যায় ছ’টি ডিম।

৪) শিশুদের অবশ্যই ডিম খাওয়াতে হবে। কারণ ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন। কুসুমে থাকে উপকারী ফ্যাট। থাকে আয়রন, ভিটামিন। বাচ্চার দৈহিক বিকাশ, হাড় শক্ত করতে এবং মেধার বিকাশে যা খুবই দরকারি।

৫) ডায়াবেটিসের রোগীও ক্যালোরি ঠিক রেখে ডিম খেতে পারেন। তাতে উপকারই হবে।

৬) চিকিৎসকরা বলছেন— ডিমে থাকে ১৪৩ ক্যালোরি এনার্জি। কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা ০.৭২ গ্রাম। প্রোটিন ১২.৫৬ গ্রাম। ফ্যাট ৯.৫১ গ্রাম। ফসফরাস ১৯৮ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম। জিঙ্ক ১.২৯ মিলিগ্রাম।

৭) অ্যানিমিয়া আক্রান্তদের পাতে অবশ্যই একটি করে ডিম রাখতে হবে। কারণ ডিমে ভালো মাত্রায় আয়রন থাকে।

৮) ডিমে রয়েছে ফসফরাস। এই উপাদানটি একদিকে যেমন হাড় মজবুত করে। তেমনই আবার দাঁতও মজবুত করতে সাহায্য করে।

৯) মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের মধ্যে পুষ্টি উপাদানের কোনও তফাত নেই।

(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)