Indigestion: উৎসবের আবহে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা? প্রতিরোধের উপায় বাতলালেন করিনার পুষ্টিবিদ

Acidity: উৎসবের আবহে একদিনও যদি শরীর খাবার হয়ে যায় তাহলে মাটি হতে পারে পুজোর আনন্দ। তাই বদহজমের সমস্যাকে আগেই প্রতিরোধ করুন।

Indigestion: উৎসবের আবহে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা? প্রতিরোধের উপায় বাতলালেন করিনার পুষ্টিবিদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2022 | 6:30 AM

পুজোর কয়েকটা দিন খাওয়া-দাওয়ার কোনও নিয়ম থাকে না। রোল থেকে বিরিয়ানি, ফুচকা থেকে ঘুগনি, কাবাব থেকে ফিশফ্রাই সব চলতে থাকে দিনরাত। উৎসবের আবহে ডায়েটের কথা কারও মনে থাকে না। পুজোর এই পাঁচ দিন কেউ কেউ তো শুধু ফাস্ট ফুডের উপর নির্ভর করেই চলে। আর খাবার খাওয়ারও কোনও সময় থাকে না। সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা থাকলে কেউ রাত দুটোই খাবার খাচ্ছে আবার কেউ দুপুর ১টায় ব্রেকফাস্ট করছে। পুজোর আনন্দে কোনও কমতি থাকছে না। কিন্তু এর চাপ পড়তে পারে শরীরের উপর। খাওয়ার অনিয়মের কারণে দেখা দেয় অ্যাসিডিটি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।

উৎসবের আবহে একদিনও যদি শরীর খাবার হয়ে যায় তাহলে মাটি হতে পারে পুজোর আনন্দ। আজ সবে অষ্টমী। পুজো এখনও দু’দিন বাকি। তাই আপনিও যদি বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন কিংবা এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে চান, তাহলে আপনাকে টিপস করিনা কাপুর খানের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর। উৎসবের মরশুমে শারীরিক অসুস্থতা এড়িয়ে কীভাবে মজা করবেন, তার টিপস শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা।

গুলকান্দের জল পান করুন- গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গুলকান্দ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই মিষ্টি স্বাদের সিরাপ আপনাকে বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে। এক গ্লাস জলে এক চামচ গুলকান্দ মিশিয়ে পান করলে এটি পেটের ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করবে। তবে অবশ্যই আপনাকে এটি সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

দিনের বেলা শরীরকে বিশ্রাম দিন- সারারাত জেগে ঠাকুর দেখেছেন? অষ্টমীর দুপুরে বরং একটা পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। অনেক সময় ঘুমের অভাবে বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে ঘুমিয়ের অভাব ক্লান্তি ডেকে আনে। দিনের বেলা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলে সন্ধ্যে থেকে আবার শুরু করতে পারবেন প্যান্ডেল হপিং।

লাঞ্চে রাখুন অর্ধেক কলা- ঠিক সময়ে লাঞ্চ করা হয় গত তিন দিন? আজকের লাঞ্চ শেষ করার পর অর্ধেক কলা খান। কলা দ্রুত বদহজমের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে। এমনকী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও নিমেষে দূর করে দেয় কলা।

যোগাসন করুন- পুজো বলে একদম শরীরচর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন? এতেই তৈরি হচ্ছে শারীরিক সমস্যা। দিনের যে কোনও একটি সময় বেছে নিয়ে যোগাসন করুন। উৎসবের আবহে সুস্থ থাকতে গেলে যোগাসন জরুরি।

কাঞ্জির সঙ্গে ঘি খান- মিষ্টির প্রতি লোভ সামলাতে পারছেন না? কাঞ্জি বা রাইস পেজে ঘি মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। পাশাপাশি বদহজম, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও দূরে রাখবে।