Coronavirus: হুপিং কাশি না কি কোভিডের কাশি, কী ভাবে ফারাক করবেন লক্ষণে?

Croup Symptoms: সম্প্রচি আমেরিকায় যে কজন শিশু কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে তাদের সকলের মধ্যেই হুপিং কাশির লক্ষণ ছিল। কাশির সমস্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই দীর্ঘদিন অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল

Coronavirus: হুপিং কাশি না কি কোভিডের কাশি, কী ভাবে ফারাক করবেন লক্ষণে?
হুপিং কাশি আর করোনাভাইরাসের ফারাক কী ভাবে করবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 9:16 PM

কোভিড সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট এই সব সমস্যাই ছিল প্রাথমিক ভাবে। পরবর্তীতে ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা, দুর্বলতা এসব সমস্যা এসেছে। অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হয়েছে কাশিও। ফের বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। দক্ষিণ আফ্রিকা, কোরিয়াতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই রয়েছে। কিন্তু তা কোভিডের কাশি নাকি সংক্রমণ জনিত কাশি তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। শিশুদের ক্ষেত্রে হুপিং কাশির সমস্যা বেশি। কোভিডেও শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। যে কারণে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। যেহেতু বাচ্চাদের এখনও পর্যন্ত কোভিড টিকাকরণ হয়নি সেই ,কারণেই তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

শিশুদের মধ্যে হুপিং কাশির প্রভাব বেশি। এর কারণ হল প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস, এন্টারোভাইরাস এবং রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (RSV) এই অসুস্থতার কারণ হতে পারে। সম্প্রতি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ১৮,৮৪৯ জন শিশু কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা চলেছে ৩৮৪ জনের। এদের মধ্যে প্রায় সকলেরই শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা ছিল। কাশি ছাড়াও সকলেই ভুগছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যায়। টানা অক্সিডেন, নেবুলাইজার দিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন চটিকিৎসকেরা। দ্য আমেরিকান আর্নাল অফ মেডিক্যাল ইমারজেন্সি-তে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ৯ মাস, ২ বছর এবং ৯ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে কোভিড জটিলতা ছিল সবচাইতে বেশি। কোভিডের পাশাপাশি এদের সকলের মধ্যে হুপিং কাশিরও সমস্যা ছিল।

হুপিং কাশির সাধারণ লক্ষণ 

এই কাশির সঙ্গে জ্বর, গলাব্যথা থাকে। যা কোভিডেরও প্রাথমিক লক্ষণ। সেই সঙ্গে কাশলে জোরে শব্দ হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময়ও ভিতর থেকে একরকম আওয়াজ আসে। যে আওয়াজ কিন্তু রীতিমতো ভয় ধরানো। সাধারণত শীতকালেই এই হুপিং কাশির সমস্যা বেশি হয়। এই কাশির নির্দিষ্ট চিকিৎসাও রয়েছে। তাই ফেলে রাখলে চলবে না। পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া, নিয়ম মেনে ওষুধ খাীওয়া এসবও করতে হবে।

কোভিড এখন বছরের যে কোনও সময়ই হতে পারে। কোভিডে জ্বর, সর্দির পাশাপাশি গলা ব্যথা, ক্লান্তি থাকে। তবে কোভিডের কাশি হুপিং কাশির থেকে অন্যরকম। সেই সঙ্গে গলাতে চুলকানো ভাবও কিন্তু থাকে। আজকাল ঋতু পরিবর্তনে কোভিডের সমস্যা সবচাইতে বেশি হচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।