Stress Busters: দিনের শেষে এক কাপ চা, নিমেষে উধাও হবে সব কাজের চাপ
Herbal Tea: আয়ুর্বেদের মতে, মানসিক চাপ কমানোর দাওয়াই হল এক কাপ চা। তবে দুধ, চিনি দিয়ে চা খেলে কোনও লাভ হবে না।
বর্তমানে মানুষের জীবনে রোগ সংখ্যা কম নেই। আজ হাঁটুতে ব্যথা, কাল বদহজমের সমস্যা। এর পাশাপাশি লেগেই রয়েছে সর্দি, কাশির সমস্যা। আর যদি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ একবার বাসা বাঁধে শরীরে, তাহলে রোগমুক্ত জীবন কাটানোর স্বপ্ন প্রায় ভুলে যেতে হয় বললেই চলে। কিন্তু এই সব কিছুর মাঝে যে জিনিসটা আমাদের বেশি বিরক্ত করে তোলে তা হল মানসিক চাপ। কখনও অফিসে কাজের চাপ, কখনও পড়াশোনার চাপ আবার কখনও পারিবারিক অশান্তি। তার উপর এখন যে ভাবে মানুষের মধ্যে স্ক্রিনিং টাইম বেড়েছে তাতে বেশির ভাগ মানুষ অবসাদ, বিষণ্ণতার শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে যত শান্ত রাখবেন, মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন ততই উপকার। কারণ অনেক সময় মানসিক চাপ থেকে ডায়াবেটিস, স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যাও দেখা দেয়।
সাধারণত, মানসিক চাপ কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা যোগব্যায়াম, সুষম আহারের সাহায্য নিতে বলেন। এর পাশাপাশি স্ক্রিন- টাইম কমাতে হবে। কিন্তু অনেক সময় আমরা এতটাই দায়বদ্ধতার সঙ্গে বাস করি যে কোনও ভাবে এড়াতে পারি না কাজের চাপ। নিত্যদিনের ব্যস্ততার মধ্যে সময় হয়ে ওঠে না শরীরচর্চার আর সুযোগ পেলেই ডায়েট ভুলে ফুড অ্যাপ অন করি। সুতরাং, আমরা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা সতর্ক থাকি না। কিন্তু তা বলে আমরা এই বিষয়টাকে অবহেলার মধ্যে ছেড়ে দিতেও পারি না। তাহলে উপায় কী?
আয়ুর্বেদের মতে, মানসিক চাপ কমানোর দাওয়াই হল এক কাপ চা। তবে দুধ, চিনি দিয়ে চা খেলে কোনও লাভ হবে না। নিয়মিত ভেষজ চা খেতে পারলে তবেই ভাল থাকবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য। হাজার হাজার বছর ধরে, মানুষ সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে ভেষজ চায়ের সাহায্য নিয়ে আসছেন। বর্তমানে, মানসিক চাপ কমানোর জন্যও একই ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভেষজ চাকে। দিনের শেষে এক কাপ ভেষজ চা কেড়ে নিতে পারে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি। সমস্ত বিষণ্ণতা কমিয়ে দিতে পারে নিমেষের মধ্যে।
ভেষজ চা পান করার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, এতে ব্যবহৃত সমস্ত উপাদান প্রাকৃতিক। এই সব প্রাকৃতিক উপাদানগুলো নিজ নিজ গুণে ভরপুর। এগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে আপনার মেজাজকে চাঙ্গা করে দেয়। কিন্তু এর জন্য কী ধরনের চা পান করবেন?
গবেষণা বলছে, মানসিক চাপ কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ চা হল ক্যামোমাইলের চা। ক্যামোমাইল হল একটি ফুল, যার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদান রয়েছে। দিনের শেষে এই ফুলের তৈরি চা পান করলে শুধু যে বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো হ্রাস পাবে তা নয়, এর পাশাপাশি কমবে বাতের ব্যথাও।
একই ভাবে, ল্যাভেন্ডারের চাও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রচরিত করতে দারুণ উপযোগী। এটি মানসিক চাপ দূর করে। এর তাজা এবং শুকনো উভয় ফুলই ব্যবহার করা হয় চা তৈরিতে। অনেক সময় বিছানায় শোয়ার আগে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিতে হয় কয়েক ফোঁটা। এতে ঘুম ভাল হয় এবং মস্তিষ্কে আরাম মেলে।