Ayurveda: প্রাকৃতিক উপায়েই পান কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি, পরামর্শ বিশেষজ্ঞের

Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানেই। রোজ এক গ্লাস করে জল খান, গরম দুধে ঘি মিশিয়ে খেতে পারলে সবচাইতে ভাল

Ayurveda: প্রাকৃতিক উপায়েই পান কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি, পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতে যা খাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2022 | 7:48 AM

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন। ১ বছরের বাচ্চারও যেমন এই সমস্যা হয় তেমনই ২৫ বছরের যুবকেরও এই একই সমস্যা হয়। এই কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ হল আমাদের খাদ্যাভ্যাস। রোজকার খাবারের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে, জল কম খান, একটানা বসে কাজ করেন সেই সঙ্গে কোনও রকম শারীপিক পরিশ্রমও থাকে না। এই কারণেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। দিনের পর দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হতে পারে ক্যানসারও। এছাড়াও যে কোনও জটিল রোগের উপসর্গ হল এই কোষ্ঠকাঠিন্য। অনেক সময় টানা অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সেখান থেকেও আসে এই সমস্যা। শরীর যদি আর্দ্র হয়ে যায়, শরীরে যদি জলের পরিমাণ কম থাকে সেখান থেকেও হতে পারে এই একই সমস্যা।

এই সমস্যায় সবচেয়ে ভাল হল আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। কোনও কারণ ছাড়াই যদি ওজন না কমে, মুখে ব্রণর সমস্যা বেশি হয়, মাথাব্যথা হয় এই সবই কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম লক্ষণ। এছাড়াও আরও বেশ কিছু জটিল রোগেরও উপসর্গ হল এই কোষ্ঠকাঠিন্য। আর তাই আগেভাগে সাবধান হওয়া জরুরি।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কখন হয়? যখন পেট পরিষ্কার না হয়, মলত্যাগে অসুবিধে হয় তখনই সেই সমস্যাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে ধরে নেওয়া হয়। মল হল আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থ। তাই এই মল যদি কোনও কারণে পাকস্থলিতে জমতে শুরু করে সেখান থেকে অন্ত্রে প্রভাব পড়ে। মলের মধ্যে যে সব বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে তাই কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে অনেকেই ইসবগুলের ভুষি খান। এছাড়াও যা কিছু খেতে পারেন-

১.আলুবোখরা- রোজ রাতে আলুবোখরা ৪-৫ টা নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে ওই জল ছেঁকে নিয়ে খান। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে পাবেন মুক্তি। রোজ সকালে এই জল খেলে উপকার পাবেন।

২.রোজ নিয়ম করে ৮-৯ গ্লাস জল খেতেই হবে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলেই সব সময় প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে।

৩.নিয়মিত ব্যায়াম করলেও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবনে। এছাড়াও শরীর ভাল থাকবে, মন শান্ত থাকবে। শরীরের অন্যান্য সব হরমোনের মধ্যে সামঞ্জস্যও বজায় থাকবে। সেই সঙ্গে হজম ঠিক মতো হবে। হজম যদি ঠক ভাবে না হয় সেখান থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেক বেশি হয়।

৪.প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস ইষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে এক চামচ গাওয়া ঘি মিশিয়ে নিয়ে খান। এতে হজম ভাল হয়। পাইলসের সমস্যার জন্য দারুণ টোটকা।

৫.আয়ুর্বেদে শুকনো আদারও একাধিক ব্যবহার রয়েছে। তাই নিয়ম করে শুকনো আদা ব্যবহার করুন।. এতে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। শরীরও ভাল থাকবে।