Type 2 Diabetes: কাঁচকলা খেতে পছন্দ করেন না! জানেন কি, রোজ খেলে হুহু করে সুগার কমাবে এই চেনা খাবার!

Benefits of Unripe Bananas: মিষ্টি কলা সকলেরই প্রিয়। অথচ জানলে অবাক হবেন পাকা কলার চাইতে কাঁচা কলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি।

Type 2 Diabetes: কাঁচকলা খেতে পছন্দ করেন না! জানেন কি, রোজ খেলে হুহু করে সুগার কমাবে এই চেনা খাবার!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 8:21 AM

মানবদেহের প্যাংক্রিয়াসের মধ্যে থাকে আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স নামে বিশেষ একটি অংশ। সেখানে থাকে বিটা সেল। সেই বিটা সেল থেকেই বেরয় ইনসুলিন (insulin) হরমোন। ইনসুলিনের প্রধান কাজ হল, রক্তে গ্লুকোজের (Blood Sugar) মাত্রা কমানো। কোনওভাবে বিটা সেল থেকে ইনসুলিন কম বেরলে বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে দেখা দেয় টাইপ-২ ডায়াবেটিস (Type-2 Diabetic)। ডায়াবেটিস রোধে চিকিৎসকরা বলেন এমন কিছু খাদ্যগ্রহণ করতে যা শরীরে দ্রুত ভেঙে গিয়ে সরল শর্করায় পরিণত হবে না। এর ফলে রক্তে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা বাড়বে না। ইনসুলিনও সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে। তাই চিকিৎসকরা ডায়াবেটিকদের সরাসরি চিনি, গুড়, মধু, মিষ্টি, সফট ড্রিংকস-এর মতো খাদ্য খেতে নিষেধ করেন। বরং এমন খাদ্য খেতে বলেন যা আখেরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এমনই একটি খাদ্য হল কাঁচা কলা ( Unripe Bananas) !

আমরা কলা সাধারণত পাকলেই খেতে ভালোবাসি। মিষ্টি কলা সকলেরই প্রিয়। অথচ জানলে অবাক হবেন পাকা কলার চাইতে কাঁচা কলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি। এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সবুজ কলা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাঁচাকলা দারুণ উপযোগী। এমনিতে কলা হলুদ না হওয়া অবধি আমরা গাছ থেকে কাঁদি পাড়ি না। অথচ কলা পেকে গেলে তার মধ্যে থাকা ‘রেজিজস্ট্যান্স স্টার্চ’ পরিণত হয় সিম্পল সুগারে। ফলে পাকা কলা খেলেই রক্তে সুগারের মাত্রা হু হু করে বৃদ্ধি পায়।

অথচ কাঁচা কলা রান্না করে খেলে এমন কোনও সমস্যা থাকে না। কারণ কাঁচা কলায় যে শর্করা থাকে তা তখনও সবুজ থাকে। কাঁচাকলা দিয়ে করা রান্নার স্বাদগন্ধও হয় অপূর্ব। রান্নায় আলাদা একটা মাত্রা যোগ করতেও সাহায্য করে সবুজ কলা।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শর্করা দুই ধরনের—সরল শর্করা এবং জটিল শর্করা। জটিল শর্করা শরীরে প্রবেশ করলে শরীর বাধ্য হয় ওই শর্করাকে ভেঙে সরল শর্করায় পরিণত করতে। কাঁচা কলায় থাকে জটিল শর্করা। ফলে শরীর যখন জটিল শর্করাকে ভাঙে তখন সময় লাগে অনেক বেশি। রক্তে শর্করা মেশেও ধীরে ধীরে।

মন্থরগতিতে হজম হওয়া এবং শর্করা শোষণের হারও ধীরে হওয়ার কারণে গ্রিন ব্যানানা এককথায় আদর্শ ডায়াবেটিক ডিশ।

আরও একটা মজার ব্যাপার হল, জটিল শর্করা হজম হতে দেরি হওয়ার কারণে দীর্ঘসময় পেট ভরে থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে বারংবার খিদে পায় না। উলটোপালটা খাদ্য খেয়ে পেট ভরাতেও হয় না। শরীরে খাদ্যের মাধ্যমে ক্যালোরি কম প্রবেশ করে। তাই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও তাকে নিয়ন্ত্রণে। বাড়ে না ওজনও।

কাঁচাকলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা কলায় থাকা উচ্চমাত্রার পরিপাকতন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।

অতএব এখন আপনারা সকলেই জেনে গেলেন, কাঁচাকলার স্বাস্থ্যগুণ। প্রশ্ন হল কীভাবে কাঁচাকলা রান্না করবেন? না। কখনওই খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা কলা খেতে যাবেন না। বরং আলুর মতো সেদ্ধ করুন কাঁচাকলা। স্ট্যুতেও দিতে পারেন কাঁচা কলা। এছাড়া স্ন্যাকস হিসেবে কাঁচকলা ভেজেও খেতে পারেন। ভাজা কাঁচা কলার স্বাদ অতুলনীয়। ভাতের সঙ্গে ভাজা কাঁচা কলা খাওয়ার রীতি এখনও বহু বাঙালি বাড়িতে রয়েছে। চাইলে আজই চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ঠকবেন না। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা অল্প মাত্রাতেই ভাজা কাঁচাকলা খাবেন। না হলে তেলের কারণে অনেকখানি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করবে।