Dry Cough: শীতে লাগাতার শুকনো কাশির সমস্যায় ভুগছেন? নিরাময়ের জন্য রইল আয়ুর্বেদিক টিপস
শীতকালে শুকনো কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে। অনেকেই একটানা এই সমস্যায় ভুগছেন। অথচ সমাধান রয়েছে রান্নাঘরেই। ঘরোয়া টোটকায় শুকনো কাশির সমস্যাকে দূর করতে রইল কয়েকটি টিপস।
শীতকালে (Winter Season) শুকনো কাশির (Dry Cough) সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। তবে শীতকাল বলে নয়, বায়ু দূষণযুক্ত (Air Pollution) শহরে শুকনো কাশি খুব সাধারণ একটি অসুখ। পরিবেশের অ্যালার্জেন বা দূষকগুলি শ্বাসনালী, ফুসফুসে প্রবেশ করে। এর ফলে শরীরে কাশির মতো উপসর্গ তৈরি হয়। ক্রমাগত কাশির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ না করা হলে শ্বাসতন্ত্র এবং গলায় প্রদাহ তৈরি হয়। শুকনো কাশি খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হতে পারে, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হিসেবেও হাজির হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা যায়—
- ঘন ঘন শুকনো কাশি।
- বুকে জ্বালাপোড়া বা শ্বাসরোধ হওয়ার মতো অনুভূতি হয়।
- কারও কারও জ্বর আসতে পারে।
- মাথা, হার্ট, বুক, পেট, পেটের পাশের অংশে ব্যথা হয়।
- মেজাজ খারাপ থাকে।
- মুখ শুষ্ক হয়ে যায়। অতিরিক্ত জল তেষ্টা পায়। মুখে খাবারের স্বাদ চলে যায়। খাবার তেতো লাগে।
- গলা ব্যথা করে। কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যায়।
- খাবার গিলতে সমস্যা হয়।
- শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা থাকে।
- খাবার খাওয়ার পর বমি বমি ভাব দেখা যায়।
কারণ
শুষ্ক কাশির মূল কারণ হল শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, সাইনুসাইটিস, নিউমোনিয়া, বমি দমন এবং অ্যালার্জেন। তবে অ্যালর্জেনই শুকনো কাশি হওয়ার পিছনে মূল কারিগর!
এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে, শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে করে তুলতে হবে শক্তিশালী। অথচ আজকাল পুষ্টি উপাদানহীন খাদ্যগ্রহণ, অসংযমী জীবনধারা এবং ক্রমবর্ধমান পরিবেশ দূষণের কারণে শরীর হয়ে উঠছে দুর্বল।
শুষ্ক কাশির আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার
- ঘুমানোর আগে ঈষদুষ্ণ দুধে হলুদ ও মধু মিশিয়ে খান। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কার্যকরী।
- মধুর সঙ্গে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে তিনবার খান।
- আদা এবং মধু একত্রে মিশিয়ে খান। আদা ও মধু প্রাকৃতিক কাশির সিরাপ হিসেবে কাজ করে। আপনার সংক্রামিত শ্বাসনালীকে রোগমুক্ত করতে সাহায্য করে। খোসা ছাড়িয়ে এক টুকরো আদাকে জলে ফুটিয়ে নিন। এই জল ছেঁকে নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খান।
- আদার প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। তাই শুকনো কাশি প্রতিরোধে আদার ছোট টুকরো চিবিয়ে খেতে পারেন।
- গলার জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে গরম জল বা চায়ে এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আরাম পাবেন।
- তুলসী পাতা, আদা ও মধু দিয়ে তৈরি চা পান করুন।
দ্রুত আরোগ্যের জন্য সারাদিন তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন
জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনুন—
- অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন, অর্থাৎ দূষণ, ধুলো, পরাগরেণু ইত্যাদির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে মাস্ক পরুন।
- জাঙ্ক ফুড, শুকনো বা মশলাদার খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
- যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।
- মাঝেমধ্যে ঈষদুষ্ণ জল পান করুন।
- ফুসফুসের সুস্থতার জন্য প্রাণায়াম করুন।
- মশার কয়েল, ধূপ, ধুনোর ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমের সঠিক সময়সূচী অনুসরণ করুন। ডিনার সারুন নটার মধ্যে। ঘুমোতে যান দশটার মধ্যে। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)