Monkeypox Prevention: ক্রমশ বাড়ছে মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ, সতর্ক থাকতে যে সব পরামর্শ দিচ্ছেন ভারতীয় চিকিৎসকেরা
Symptoms: গুটিবসন্ত সৃষ্টিকারী ভ্যারিওলা ভাইরাসের মতই তা সংক্রমণ ছড়ায়। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ চিকেন পক্সের মতই হালকা, তবে মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে চিকেন পক্সের কোনও সম্পর্ক নেই
কাটেনি কোভিড। ফের বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, আসছে মৃত্যুর খবরও। বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মাঙ্কিপক্সকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। ভারতেও ক্রমশ বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। কাটেনি কোভিড। ফের বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, আসছে মৃত্যুর খবরও। বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মাঙ্কিপক্সকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। ভারতেও ক্রমশ বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে কেরলে। এরপর দিল্লি থেকেও মিলেছে ২ আক্রান্তের খোঁজ।
তবে অনেকেরই প্রশ্ন কি এই মাঙ্কিপক্স?
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে যেমন জানানো হয়েছে মাঙ্কিপক্স হল মাঙ্কিপক্স ভাইরাস থেকে সৃষ্ট একটি রোগ। গুটিবসন্ত সৃষ্টিকারী ভ্যারিওলা ভাইরাসের মতই তা সংক্রমণ ছড়ায়। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ চিকেন পক্সের মতই হালকা, তবে মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে চিকেন পক্সের কোনও সম্পর্ক নেই।
মাঙ্কিপক্সের মত চিকেন পক্সও ছড়ায় একই ভাবে। সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহার করা বিছানা, বালিশ, তোয়ালে, জলের গ্লাস, গায়ের ফুসকুড়ি, স্পর্শ, চুম্বনের মধ্যে দিয়েই ছড়ায় এই মাঙ্কি ভাইরাস। এমনকী আক্রান্ত হতে পারেন গর্ভবতীরাও। সেখান থেকে গর্ভস্থ সন্তানেরও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই মাঙ্কিপক্স হলে যৌনসংসর্গ থেকে বিরত থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা।
লক্ষণ
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে জ্বর, অস্বস্তি, ক্লান্তি, জয়েন্টে ব্যথা, ফুসকুড়ি, ফোস্কা, চুলকানি-সহ নানা রকম ত্বকের সমস্যা থেকে যায়। সেখান থেকে ব্যথা করে, যে অংশে চুলকানি থাকছে সেই অংশটি লাল হয়ে ফুলে যায়। ফোস্কা থেকে যায় ২-৩ মিলিমিটারের বেশি। সঙ্গে জ্বর থাকে। জ্বর এক সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ফোস্কাও ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
চিকিৎসা
মাঙ্কিপক্স বায়ুবাহিত। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমেই আইসোলেশনে রাখতে হবে। তাঁর ব্যবহার্য কোনও জিনিস যাতে অন্য কারোর সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। জ্বর আর মাথাব্যথার জন্য প্যারাসিটামল খান। ক্ষতস্থানে ক্রিম লাগান। এছাড়াও চোখে যদি সমস্যা হয় তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই কিন্তু ক্রিম লাগাবেন। ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গুটিবসন্তের চিকিৎসার জন্য যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছিল তা মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং এটি ৮৫% এর বেশি ক্ষেত্রে কার্যকর বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কী ভাবে এড়িয়ে চলবেন
*আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি স্পর্শে আসবেন না। ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। *আক্রান্ত ব্যক্তির গায়ে হাত দেবেন না সরাসরি। *সংক্রামিত ব্যক্তির সেবা করার সময় গ্লাভস আর মাস্ক অবশ্যই পরবেন। *বাসন, বিছানা. কাপড় নিয়মিত পরিষ্কার করবেন। সংক্রমিতের বিছানা ব্যবহার করবেন না। *সংক্রমিতের জামা ওয়াশিং মেশিনে ধোবেন না। *ভাল ডিটারজেন্ট দিয়ে হাতে ধুতে হবে। *সব সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। তারপর স্যানিটাইজার স্প্রে করুন। *মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন নিন, রোগ এড়ানো সহজ হবে।