Diet Tips: মিষ্টি খেতে ভালবাসেন? ডায়েট প্ল্যান সেট করুন এই ভাবে, একফোঁটাও ওজন বাড়বে না
Sweet Cravings: মিষ্টির মধ্যে কোনও রকম কোনও পুষ্টি থাকে না। খালি তা চোখের খিদে মেটায়
ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই তালিকা থেকে যে খাবারটি বাদ দিতে হয় তা হল মিষ্টি। মিষ্টি খেলে শুধুই যে ওজন বাড়ে তা নয়, সঙ্গে এসে জুড়ে বসে আরও হাজারো সমস্যা। মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ে, দাঁতে ব্যথা হয়, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় এবং আরও অনেক কিছু হতে পারে। এদিকে শর্করার উৎপত্তি কিন্তু আমাদের দেশেই। ভারতবর্ষেই জন্ম নিয়েছিল শর্করা, অর্থাৎ চিনি। দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে যে উত্তম মানের মিষ্টদ্রব্য প্রস্তুত করা সম্ভব, তা প্রমাণ করেছিল বাঙালিরাই। বঙ্গদেশের উত্তরভাগের যে অংশটিকে ‘গৌড়’ বলা হত, সেই মালদা-মুর্শিদাবাদের গুড় ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। আর আমাদের খেজুর গুড়ের স্বাদবিচারে বসলে তো আলোচনা শেষই হবে না! আর তাই বাঙালিদের মিষ্টির প্রতি দুর্বলতা বরাবরই। এই দুর্বলতা ভুল তো আর কিছু নয়!
বাংলায় পাড়ার মোড়ে মোড়ে মিষ্টির দোকান। বোঁদে, মিহিদানা, গজা, পান্তুয়া, রসগোল্লা, লন্দেশ, ল্যাংচা, সীতাভোগের সেখানে সর্বক্ষণের উপস্থিতি। এমন সুন্দর মিষ্টির থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকে কার সাধ্যি। এছাড়াও কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, ক্রিম রোল এসব তো আছেই। ডায়েট যখন করছেন তখন তো তালিকা থেকে মিষ্টি বাদ। জীবন থেকে মিষ্টি বাদ দিলে জীবনযে আরও কয়েক গুণ মধুর হয় তা নিঃসন্দেহেই। তবে এই ভাবে মিষ্টিকে সঙ্গে রেখেও ডায়েট করতে পারেন।
মিষ্টির মধ্যে কোনও রকম কোনও পুষ্টি থাকে না। খালি তা চোখের খিদে মেটায়। আর তাই সপ্তাহে একদিন রাখতে পারেন মিষ্টির জন্য। বড়জোর দুদিন। তবে এর মধ্যে কোনও দিন তরকারিতে বা চায়ে চিনি খাওয়া যাবে না। আইসক্রিম কিংবা কেক খেলেও চলবে না। খাওয়ার পর বেশি করে জল খান। প্লেটে স্যালাডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তাহলে আর মিষ্টি খাওয়ার কোনও রকম ইচ্ছে থাকে না। চাইলে ভাল কোয়ালিটির মিষ্টি খান। সেক্ষেত্রে দাম বেশি পড়লেও একটার বেশি মিষ্টি খেতে মন মোটেই চাইবে না।
সারা সপ্তাহ কোক, পেস্ট্রি, বিস্কুটেও কিন্তু রাশ টানতে হবে। যত কম সংখ্যায় খেতে পারবেন ততই ভাল। চাটনি, কোল্ড ড্রিংক থেকেও দূরে থাকুন। পরিবর্তে ডেজার্ট বানিয়ে নিন বাড়িতেই। টকদইয়ের সঙ্গে রকমারি ফল মিশিয়ে খেতে পারেন। আপেল, কলা, আঙুর, বেদানা, পেঁপে, সবেদা, কমলালেবু সব ফল মিশিয়ে নিয়ে একবাটি খান। রোজ আমন্ড, আখরোট এই সব ড্রাই ফ্রুটস খান। এতে মিষ্টির প্রতি লোভও কমে। সকালে উঠে দারুচিনি, লবঙ্গ আর গোলমরিচ দিয়ে চা বানিয়ে খেলেও মিষ্টির লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। গাজর কুরিয়ে, খেজুর ওটস, ড্রাই ফ্রুটস আর বিভিন্ন বীজ এক সঙ্গে মিশিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিন লাড্ডু। সুযোগ বুঝে তা মুখে চালান করুন। এতে মিষ্টিও খাওয়া হবে আর মন ভরবে।