Menstrual Pain: ঋতুস্রাবের সময় ছুটি নেই, অফিসে কীভাবে সামলাবেন পিরিয়ডের যন্ত্রণা?
Menstrual Cramps: যাঁরা সংসার ও অফিস দুটোতেই রাজ করেন, তাঁদের কাছে মাসের এই ক'দিনের যাত্রাটা খুব একটা মসৃণ হয় না।
বর্তমানে মহিলারা ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে আর আবদ্ধ নেই। বরং, ঘর ও বাইরে, দু’দিক সমান হাতে সামলান তাঁরা। এটা আমাদের সমাজের এক বড় উন্নতি হলেও যে বিষয়টা মহিলারা কখনওই উপেক্ষা করতে পারেন না, তা হল ঋতুস্রাব। ঋতুস্রাব প্রতিটা মহিলার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বরং বলা চলে, জীবনের একটা অধ্যায়। কিন্তু সময় তখন হয় যখন ঋতুস্রাব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। ঋতুস্রাব চলাকালীন প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই ক্লান্তি, দুর্বলতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আবার কিছু কিছু মহিলা ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথার সম্মুখীন হন। এছাড়াও কারও ভারী ঋতুস্রাবের সমস্যা হয়। এর পাশাপাশি হরমোনের পরিবর্তন ও মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যা রয়েছেই। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ওই ক’দিন একটুও সুখকর হয় না সবার কাছে। কিন্তু স্পেনের মতো আমাদের দেশে ঋতুকালীন ছুটির কোনও সুযোগ নেই। সুতরাং, যতই সমস্যা হোক আমাদের বাইরে বেরোতেই হয়।
ঋতুস্রাব চলাকালীন বাড়িতে থাকলে তুলনামূলক আরাম মেলে। কিন্তু যাঁরা সংসার ও অফিস দুটোতেই রাজ করেন, তাঁদের কাছে মাসের এই ক’দিনের যাত্রাটা খুব একটা মসৃণ হয় না। ঘন ঘন প্যাড পরিবর্তনে সমস্যা হয়, মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে তা লিকএজের সম্ভাবনা থেকে যায়। এর মধ্যে আবার তলপেটে ব্যথা। খুব বেশি সমস্যা হলে এর পাশাপাশি ডায়ারিয়া, বমি বমি ভাবও দেখা দেয়। সব মিলিয়ে ঋতুস্রাবের সময় একটানা ৮-৯ ঘণ্টা বাড়ির বাইরে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ছুটি নেওয়ার সুযোগ যেহেতু নেই, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেবেন কীভাবে?
প্রথমত, যাঁদের এই ডিসমেনোরিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়, তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখুন। এঁদের নিজের শরীরকে বুঝতে এবং সঠিকভাবে তার পরিচর্চা করতে আপনার সুবিধে হবে। এর পাশাপাশি যাঁদের নিয়মিত কাজে বেরোতে হয়, তাঁরা ঋতুস্রাবের সময় হওয়া তলপেটের ব্যথা এড়াতে সঙ্গে যন্ত্রণানাশক ওষুধ রাখতে পারেন। এতে সাময়িক আরাম মিলবে।
এছাড়াও অফিসে গিয়ে কাউকে দীর্ঘক্ষণ ৭-৮ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয়, আবার কেউ কেউ অফিসের কাজে সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ান। এমন পরিস্থিতিতে, আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এই ক্ষেত্রে হঠাৎ যন্ত্রণা শুরু হলে প্রথমে শান্ত হয়ে বসুন। তারপর একটি গভীর শ্বাস নিন এবং একই পদ্ধতিতে শ্বাস ছাড়ুন। এই ব্যায়ামটা কিছুক্ষণ করলে একটু স্বস্তি মিলবে।
তলপেটে যন্ত্রণা, দুর্বলতা, ক্লান্তি এই সব সমস্যাকে দূর করতে এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেডও হবে না। এর পাশাপাশি চা, কফি, মদ, লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আপনি যেহেতু জানেন যে মাসের ওই ৪টে দিন আপনি বেশি কষ্ট পান, তাই মাসের অন্যান্য দিনগুলো মন দিন শরীরচর্চায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ঋতুস্রাবের ব্যথা কমতে পারে অনেকাংশে।