আজকাল ডায়াবেটিসের সমস্যা ঘরে ঘরে। এই রোগটির এখন আর কোনও বয়স নেই। ছোট থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন সুগারে। এর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা একেবারেই না করা যে সুগার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ একথা বারবরই বলছেন চিকিৎসকরা।
অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। এই হরমোনের ক্ষরণ যদি কোনও কারণে কমে যায় বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে রক্ত শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। কেন এই সমস্যা হয় এর উত্তর কারোর কাছেই নেই।
আজকের দিনে সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে সুগার থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরি। রোজ রোজ চিপস, বাগার, পিৎজা, রোল, মাটন, কোল্ডড্রিংক, চকোলেট, আইসক্রিম এসব খেলে সুগার বাড়বেই। তাই রোজের খাবারে রাশ টানতেই হবে। সুগার মাত্রায় আছে কিনা তা জানতে প্রতি ৬ মাস অন্তর সকলেরই সুগার পরীক্ষা করা দরকার।
এছাড়া যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে প্রতি ১০ দিন অন্তর বাড়িতে সুগার চেক করা আবশ্যক। যদি কোনও কারণে রোজ সুগার পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই করবেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। বাড়িতে গ্লুকোমিটার অনেকেই রাখেন। কিন্তু বাড়িতে সুগার চেক করার আগে যে সব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে
ভাল সংস্থার ডিভাইস কিনতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেকেও টেকনোলজি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। নইলে ঠিক মতো রিডিং আসবে না। সেই সঙ্গে কী ভাবে সুগার পরীক্ষা করবেন তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিতে পারলেই সবচাইতে ভাল। কোন কোম্পানির কিনবেন তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন।
যে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করা সুবিধে সেই রকমই কিনুন। প্রয়োজনে বাড়িতে দুটো গ্লুকোমিটার রাখুন। যাতে প্রয়োজনে অন্যটা কাজে আসতে পারে। টেস্টিং কিটও রাখুন হাতের সামনে।
টেস্টিং স্ট্রিপে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত দিত হবে। নইলে টেস্টের ফলাফল ঠিক আসে না। আর টেস্ট করার আগে হাত খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। নইলে যে সমস্ত ময়লা থাকে তা হাতে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।