Jeera Water: ছুটিতে পেটপুরে খেলেও বাড়বে না কলেস্টেরল বা সুগার, ঘরোয়া টোটকাতে মিলবে সমাধান!

Health Tips: জিরের জল খেলে হজমের একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর হয়, কোলেস্টেরলের থাকে নিয়ন্ত্রণে

Jeera Water: ছুটিতে পেটপুরে খেলেও বাড়বে না কলেস্টেরল বা সুগার, ঘরোয়া টোটকাতে মিলবে সমাধান!
হজমের সমস্যার সমাধান লুকিয়ে এই পানীয়তেই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 6:41 AM

কাজের চাপে আজকাল ছুটি পাওয়া বড়ই বিষম বস্তু। সপ্তাহে একটা দিন ছুটি সকলেই পান। কিন্তু সেদিন জমা কাজ সারতে সারতেই সময় চলে যায়। ফলে আলাদা করে ছুটির দিন উপভোগ করা যায় না। তবে কিছু সময় ক্যালেন্ডারে লম্বা ছুটির তালিকা থাকে। এই সময়টা তাই কেউই হাতছাড়া করতে চান না। এবার ছুটির দিন মানেই উল্টো পাল্টা খাওয়া-দাওয়া হয়েই থাকে। আজকাল ঘরে ঘরে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। রাত জাগা, মশলাদার খাবার, পানীয়, কাবাব-বিরিয়ানি খেলে শরীরে অস্বস্তি লেগেই থাকে। শরীরে অস্বস্তি নিয়ে কোনও কাজ করা যায় না। গ্যাস-অম্বল চেপে রাখলে সেখান থেকেও আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। আর তাই এমন ছুটির দিনে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই ঘরোয়া টোটকা। ছুটির দিনে যেহেতু তুলনায় বেশি খাবার খাওয়া হয়, মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া হয় তাই জল বেশি করে খেতেই হবে। সেই সঙ্গে রান্নাঘরে থাকা এই উপাদানেও সমস্যা মিটবে অনেকখানি।

যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে দিরের কোনও জুড়ি নেই। সামান্য তরকারি থেকে শুরু করে মাছের ঝোল- জিরের ব্যবহার সর্বত্র। রোজ জিরে জল খেলে ফ্যাট গলে, পেটের মেদ ঝরে সঙ্গে হজমও ভাল হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও এই জিরের জল খুবই উপকারী। জিরের রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। জিরে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। যা আমাদের পেটের জন্য ভীষণ ভাল। এছাড়াও জিরে আমাদের হজম ক্ষমতা ভাল করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বদহজম হলেই পেটে গ্যাস জমে যায়। শরীর ফুলে যায়। এক্ষেত্রেও যদি গরম জলে জিরে, আদা ফুটিয়ে ছেঁকে খাওয়া যায় তাহলে উপকারিতা পাওয়া যায়।

এছাড়াও জিরে জলের যে সব উপকারিতা রয়েছে-

শরীরের ফোলাভাব এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রয়েছে এই জিরে জলের। পেটের ব্যথা. বদহজমের ক্ষেত্রেও তা ভীষণ রকম কার্যকরী। জিরের জলে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের হজমে সহায়ক এনজাইমকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। যা আমাদের অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় খুব ভাল কাজ করে

গর্ভাবস্থাতেও হবু মায়ের জন্য খুব ভাল হল জিরের জল। জিরের জলের মধ্যে থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এনজাইম। যা হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সেই সময়ের একাধিক শারীরিক জটিলতা দূর করতেও ভূমিকা রয়েছে এই জিরের জলের।

রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়

জিরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আর ফাইবার। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের হাত থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ করে তোলে।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব ভাল হল জিরের জল। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই ভেষজ উপাদান। সেই সঙ্গে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। যে কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের রোজ নিয়ম করে জিরের জল খেতে বলা হয়।