Diabetes Diet: এই ভাবে খান জামের বীজ, রক্তচাপের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইনসুলিন নিঃসরণ
Jamun Seeds: এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এই জাম স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে উপকারী। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জামের বীজও সুগার রোগীদের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে।
দিন দিন বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব জুড়ে বেড়েই চলেছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর খুব বেশি সময় বাকি নেই, যখন এই রোগ মহামারিতে পরিণত হবে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, শরীরচর্চা একেবারেই না করা, বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। কিন্তু এই লাইফস্টাইলকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। গরমে সুস্থ থাকার জন্য মরসুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই মরসুমি ফলের তালিকায় রয়েছে জামও। গরমের দুপুরে নুন মাখানো জামে কামড় দিতে মন্দ লাগে না! কিন্তু জানেন কি এই জামের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ উপযোগী?
এশিয়ার দেশগুলিতে জাম খাওয়ার একটা চল রয়েছে। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এই জাম স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে উপকারী। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জামের বীজও সুগার রোগীদের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জামের বীজের মধ্যে জাম্বোলিন ও জাম্বোসিন নামক উপাদান পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এই উপাদানগুলি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও জামের বীজের মধ্যে অ্যালকালয়েড রয়েছে যা স্টার্চ থেকে শক্তিতে রুপান্তরিত হয় এবং এটাই ডায়াবেটিসের উপসর্গগুলিকে প্রশমিত করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলিকে প্রশমিত করে জামের বীজ।
জামের বীজের মধ্যে ফাইবারও রয়েছে। এই উপাদানটি শুধু হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে না, বরং রক্তে শর্করার মাত্রাও উন্নত করতে সাহায্য করে। পুরুষদের যখন ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তখন তাদের মধ্যে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা দেখা দেয়। উপরন্ত কমে যায় সেক্স ড্রাইভ। লিবিডো বাড়াতে দুর্দান্ত সাহায্য করে জামের বীজ।
ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলছে সমস্যা। এই ক্ষেত্রেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে জামের বীজ। জামের বীজের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এই পটাশিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর পাশাপাশি ধমনীতে রক্ত জমার সমস্যাকে প্রতিরোধ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে তোলে।
কিন্তু সহজেই তো আপনি জামের বীজ চিবিয়ে খেতে পারবেন না। এতে কষা স্বাদ লাগে। তাই জাম খেয়ে এর বীজগুলো রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর বীজের উপরিভাগের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর আবারও রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর বীজগুলোকে মিক্সিতে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার এক গ্লাস জলে এক চা চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল।