Coronavirus: কেন এই সব মানুষের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না কোভিড সংক্রমণ, জানুন কারণ
COVID-19: শরীরে উন্নত মানের টি-কোশ থাকায়, এই সব মানুষদের মধ্যে কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। যে কারণে তাঁদের কোভিড সংক্রমণের মধ্যে পড়তে হয় না বলে অনেকের বিশ্বাস। তবে এই ধারণার সঠিক যুক্তি কিন্তু নেই...
কোভিড (Covid-19) আক্রান্তদের সঙ্গেই থেকেছেন, একাধিকবার সংস্পর্শেও এসেছেন- কিন্তু তারপরও তাঁরা সুরক্ষিত থেকেছেন। কোভিডের ভাইরাস কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও কাবু করতে পারেনি তাঁদের। গত দুবছর ধরে কোভিডের সংক্রমণে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই যেমন প্রাণ হারিয়েছেন, তেমনই আবার অনেকেই কিন্তু বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সব থেকে মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রনে (Omicron)। কিন্তু তাও এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা কোভিডের কোনও তরঙ্গতেই আক্রান্ত হননি। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কী ভাবে সম্ভব। এই ‘নো কোভিড’ (No Covid) আক্রান্তরা কিন্তু শুধুমাত্র যে কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাচ্ছেন তা কিন্তু নয়,কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণ রোধেও সাহায্য করছেন। ২০১৯- এর নভেম্বরে প্রথম এই কোভিড ভাইরাসের খোঁজ মেলে চিনের উহানে। এরপরই কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। কোভিডের ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪০, ৮০৭,৭৫৬ জন। এরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরপে কোভিডকে অতিমারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে কোভিডের একাধিক ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত কোভিডের ৫ টি উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। অফিসে শুরু হয় ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এখনও অনেক জায়গাতেই চলছে সেই ট্রেন্ড।
ইম্পেরিয়াল কলেজের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যাঁদের টি কোশ খুব উচ্চমানের, ইমিউন সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে মেমরি সেল তাঁদের কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কারণ এঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। কোভিডের উপসর্গ সাধারণ সর্দি-কাশির মতই। আর তাই গবেষকরা দেখেছেন, যাঁদের শরীরে টি-কোশ বেশি মাত্রায় রয়েছে তাঁদের কিন্তু এই কোভিড ভাইরাস মোটেই সহজে কাবু করতে পারে না। সেই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, এই কোশগুলি সহজেই কোভিডের উপসর্গ চিনে ফেলার ক্ষমতা রাখে। সেই সঙ্গে সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গেও তফাত করতে পারে। আর তাই শরীর ভাইরাসের সংস্পর্শে আসলে সঙ্গে সঙ্গেই এই কোশগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। যে কারণে এই সব ব্যক্তিরা কিন্তু সহজে কোভিডে আক্রান্ত হন না।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে কিন্তু চিকিৎসকদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। এই নো কোভিড আক্রান্তদের সম্বন্ধে সঠিক কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বরং চিকিৎসকদের মতে, উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এবং তাঁদের মাধ্যমে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। তবে এসবের পরও টিকাকরণের গুরুত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। বার বার তাঁরা বলছেন, কোভিডের টিকা কিন্তু সকলকেই নিতে হবে। তবেই শরীরে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। টিকা না নিলে অবং সংক্রমণ হলে দেখা দেবে একাধিক জটিলতা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।