Omicron Symptoms: জ্বর-সর্দি অতীত, এখন মারাত্মক পেশির যন্ত্রণা কিন্তু ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণ
Muscle Aches and Pains: ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের দাপটে অনেকেই মনে করছেন কোভিড-সম্পর্কিত লক্ষণগুলি আবার পরিবর্তিত হয়েছে। জ্বর-সর্দি, ডায়ারিয়া এখন খুব সাধারণ লক্ষণ।
আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনা ভাইরাসে যখন মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করেছিল, তখন বেশ উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা আমরা সকলেই দেখেছি। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ যে হারে মানুষের প্রাণ কেড়ে ছিল, একইভাবে সংক্রমণের হার বেড়েছিল তৃতীয় ঢেউয়ে। সময়ের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের চরিত্রও পরিবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি এর উপসর্গও বদলেছে। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭।
প্রথমদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। এমনকী প্রথমদিকে জিহ্বে কোনও খাবারের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবস্থার অবনতি নিমোনিয়ার মতো মারণ রোগের দিকে পরিচালিত করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের উপসর্গের তালিকায় যুক্ত হয়েছে মাথা ব্যথা, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, কোভিড ফুসফুস, হার্ট এবং স্নায়ুতন্ত্র সহ একাধিক অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলেছে। আর লং কোভিডের উপসর্গগুলির সঙ্গে এখনও মানুষ লড়াই করছে। ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ উপদ্রব বাড়ায় মনে হচ্ছে কোভিডের উপসর্গগুলো আবার বদলাচ্ছে।
এখন কোভিডের সাধারণ লক্ষণ জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়ারিয়া, শারীরিক ক্লান্তি ইত্যাদি। ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের দাপটে অনেকেই মনে করছেন কোভিড-সম্পর্কিত লক্ষণগুলি আবার পরিবর্তিত হয়েছে। এখন অনেকেই কাঁধ এবং পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন। এই উপসর্গ চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘মায়ালজিয়া’ নামে পরিচিত।
মায়ালজিয়ায় আক্রান্ত হলে পেশিতে ব্যথা ও যন্ত্রণা হয়। মূলত কোনও ভাইরসারের প্রতিক্রিয়ায় ইমিউন কোষ দ্বারা নির্গত প্রদাহজনক অণুর প্রভাব থেকে এই সমস্যা তৈরি হয়। যাঁরা নিয়মিত কোভিডের লক্ষণগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন, সেই সব বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন কোভিডের শীর্ষ উপসর্গ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে মায়ালজিয়াকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব কোভিড রোগীর মায়ালজিয়ার টিকা নেওয়া নেই, তাঁদের শরীরে এই ভাইরাস মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
জ্বর-সর্দি হলে অনেক সময় গা-হাত-পা ভারী হয়ে থাকে। পেশিতে ব্যথা অনুভব করেন। পাশাপাশি ক্লান্তিও থাকে। এখন এই উপসর্গ করোনাতে আক্রান্ত হলেও দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড মারাত্মকভাবে পেশিতে ব্যথা-যন্ত্রণা তৈরি করছে। এতে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা তৈরি হচ্ছে। এতে এমনই অবস্থার অবনতি ঘটছে যে, দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো করতেও রোগীর মারাত্মক কষ্ট হচ্ছে। তবে, কোভিডের কারণে মায়ালজিয়ার সমস্যা দু থেকে তিনদিন স্থায়ী হচ্ছে। বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এটি তিন দিনের বেশিও থাকছে। কিন্তু সমস্যা হল, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও শারীরিক দুর্বলতা থেকেই যাচ্ছে।