Alzheimer: নাক খোঁটার অভ্যাস রয়েছে? বাড়ছে স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি, দাবি নতুন গবেষণার

Dementia: অনেকেরই নাক খোঁটার বদঅভ্যাস রয়েছে। 'বদঅভ্যাস' কেন? সেটারই উত্তর দিচ্ছে এই নতুন গবেষণা।

Alzheimer: নাক খোঁটার অভ্যাস রয়েছে? বাড়ছে স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি, দাবি নতুন গবেষণার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 8:59 AM

অনেকেরই নাক খোঁটার বদঅভ্যাস রয়েছে। ‘বদঅভ্যাস’ কেন? সেটারই উত্তর দিচ্ছে নতুন গবেষণা। নাকের ময়লা বার করতে গিয়ে বার বার নাক খোঁটার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে পারে স্বাস্থ্য সমস্যা। সাম্প্রতিকতম একটি গবেষণা বলছে, নাক খোঁটার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে পারে অ্যালঝাইমার্স ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি। অর্থাৎ যে রোগে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে লুপ্ত পায় স্মৃতিশক্তি। এর পরও আপনি নাক খোঁটার অভ্যাসকে ‘বদঅভ্যাস’ বলবেন না?

সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্লেম জোনস সেন্টার ফর নিউরোবায়লোজি অ্যান্ড স্টেম সেল রিসার্চ-এ ওই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নাকের মধ্যে আঙুল ঢোকানো বা নাক খোঁটার অভ্যাস অ্যালঝাইমার্স ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু কীভাবে? সেটাও প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণা পত্রে।

অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্লেম জোনস সেন্টার ফর নিউরোবায়লোজি অ্যান্ড স্টেম সেল রিসার্চ-এর গবেষকেরা ইঁদুর উপর ওই গবেষণা করেন। নাকের মধ্যে আঙুল ঢোকালে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। আসলে আঙুলের মাধ্যমে ক্ল্যামাইডিয়া নিউমোনি নামের বিশেষ ব্যাকটেরিয়া মস্তিষ্কের পৌঁছে যায়। এর প্রভাব পড়ে স্মৃতির উপর। স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দেখা দেয়। ক্ল্যামাইডিয়া নিউমোনি নামক ওই ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়ার জন্যেও দায়ী।

গবেষকদের মতে, ক্ল্যামাইডিয়া নিউমোনি নামের ওই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া নাকের ভিতরে থাকা অলফ্যাক্টরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। এখানেই প্রভাবিত হয় স্মৃতিশক্তি। সুতরাং, নাক খোঁটার বদঅভ্যাস স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি ওই স্নায়ুর মাধ্যমে জীবাণু মস্তিষ্কে পৌঁছায়। সব মিলিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে শরীরে।

গবেষকদের মতে, ক্ল্যামাইডিয়া নিউমোনি নামক ওই জীবাণুর প্রভাবে মস্তিষ্কের কোষে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের জন্য মস্তিষ্কের কোষে অ্যামাইলয়েড বিটা নামের একটি প্রোটিন জমা হতে থাকে। যত বেশি এই প্রোটিন মস্তিষ্কের কোষে জমা হবে, তত বেশি অ্যালঝাইমার্স রোগের ঝুঁকি বাড়বে। সুতরাং, নাক খোঁটা, নাকের ভিতরের লোম তোলা কখনওই ভাল অভ্যাস নয়। এতে নাকের ভিতরে থাকা আস্তরণেরও ক্ষতি হয়।

আগে ধারণা বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। যদিও এখনও অ্যালঝাইমার্স ও ডিমেনশিয়া ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালঝাইমার্স ও ডিমেনশিয়ার সঙ্গে গন্ধের অনুভূতিবাহী স্নায়ু জড়িত। তাই এই রোগকে প্রতিরোধের জন্য নাকের ভিতর আঙুল দেওয়ার বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।